সুন্দরবনে ফের বাঘের হানায় মৃত্যু মৎস্যজীবীর!
ফের বাঘের হানায় মৃত্যু হল সুন্দরবনের (Sundorbon) এক ধীবরের।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা:ফের বাঘের হানায় মৃত্যু হল সুন্দরবনের (Sundorbon) এক ধীবরের। রবিবার সুন্দরবনের ঝিলা ২ নম্বর জঙ্গল লাগোয়া কাঁকসা খালে প্রতিবেশী কয়েকজনের সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন আনন্দ ধর নামে বছর পঞ্চাশ বয়সী ওই ধীবর।
আচমকাই ম্যানগ্রোভের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে একটি বাঘ তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। হামলা ঠেকাতে লাঠি, নৌকোর বৈঠা দিয়ে পাল্টা বাঘকে মারতে থাকেন আনন্দবাবুর প্রতিবেশীরা। তাতে বাঘ জঙ্গলে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত ও গুরুতর জখম অবস্থায় নৌকোয় চাপিয়ে হাসপাতালে আনা হচ্ছিল ওই ধীবরকে।
মাঝরাস্তায় মারা যান ছোট মোল্লাখালির কালিদাসপুরের বাসিন্দা আনন্দবাবু। বন দফতর সূত্রে খবর, আনন্দবাবুরা অনুমতি ছাড়াই কাঁকড়া ধরতে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে পরপর দুই জন ধীবরের মৃত্যু হল বাঘের হামলায়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবারই বাঘের হানায় মৃত্যু হয় ভগবতী মণ্ডল নামে এক মহিলা মৎস্যজীবীর। ভগবতীর বাড়ি গোসাবা ব্লকের লাহিড়িপুরের চরঘেরি গ্রামে। ভগবতী মন্ডল স্বামী অতিন মন্ডল ও অপর প্রতিবেশী সবিতা মন্ডলকে নিয়ে খুব ভোরে রওনা দিয়েছিলেন ঝিলা ৪ জঙ্গলে। নদীর চরে একটি বাঘকে শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন ওঁরা। কিন্তু ভেবেছিলেন সেটি মৃত বাঘ। বিশেষ আমল দেননি তাতে। আপন মনেই কাঁকড়া ধরতে থাকেন তাঁরা। কাঁকড়া ধরার সময়ে চরের কাছাকাছি চলে গেলে আচমকাই বাঘটি লাফিয়ে পড়েছিল ভগবতীর ওপর।
স্ত্রীকে চোখের সামনে ওই অবস্থায় দেখে বাঘের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন স্বামী অতীন। বাঘে-মানুষের দীর্ঘক্ষণ চলে লড়াই। শেষে বাঘটি পালিয়ে যায়। মৃত স্ত্রীকেই নৌকা বয়ে গ্রামে নিয়ে আসেন স্বামী। বন দফতর জানাচ্ছে, ওঁরা কেউই অনুমতি নিয়ে জঙ্গলে যান না। ফলে বিপদ বাড়ছে।