AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Gangasagar: সাগর যেন ক্রমেই এগিয়ে আসছে, কপিলমুনির আশ্রমকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি কাজ শুরু সেচ দফতরের

Gangasagar: সম্প্রতি আবারও শাল-বল্লা দিয়ে সাদা বালির সঙ্গে মাটি এবং ইঁটের টুকরো ফেলে সেচ দফতরের তরফে শুরু করা হয়েছে আপৎকালীন মেরামতের কাজ। তবে সেই কাজও যথেষ্ট নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা।

Gangasagar: সাগর যেন ক্রমেই এগিয়ে আসছে, কপিলমুনির আশ্রমকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি কাজ শুরু সেচ দফতরের
ভাঙন রুখতে ময়দানে সেচ দফতরImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2025 | 7:02 PM
Share

গঙ্গাসাগর: গঙ্গাসাগরে কপিলমুনির মন্দিরের সামনে ভাঙন। বিধ্বস্ত সমুদ্র পাড়ে আপতকালীন মেরামতের কাজ শুরু করেছে সেচ দফতর। তবে আপতকালীন মেরামতের উপর মিলছে না ভরসা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে মেরামতের কাজ করার অভিযোগে সরব বিরোধীরা। কার্যত কপিলমুনির মন্দির টিকিয়ে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশাসনের কাছে।

একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে কপিলমুনির মন্দিরের সম্মুখে সাগরপাড় ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়েছে। সমুদ্রপাড়ের কংক্রিটের রাস্তা থেকে শুরু করে ইলেকট্রিক পোস্ট সবকিছুই তলিয়ে গিয়েছে সমুদ্র গর্ভে। ফলে বঙ্গোপসাগরের বাঁধ বলতে অবশিষ্ট কিছু নেই। ক্রমেই কমছে সাগর থেকে কপিলমুনি মন্দিরের দূরত্ব। মন্দিরের সামনে সাগর পাড়ের ভাঙন ঠেকাতে প্রত্যেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর আপৎকালীনভাবে মেরামত করা হয়।

সম্প্রতি আবারও শাল-বল্লা দিয়ে সাদা বালির সঙ্গে মাটি এবং ইঁটের টুকরো ফেলে সেচ দফতরের তরফে শুরু করা হয়েছে আপৎকালীন মেরামতের কাজ। তবে সেই কাজও যথেষ্ট নিম্নমানের হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। কাজ চলাকালীন ঠিকাদারের সঙ্গে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বচসসাও বাঁধে। কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। পরবর্তীতে আবারও কাজ শুরু করে সেচ দফতরের শ্রমিকরা। কপিলমুনির মন্দির সহ গঙ্গাসাগরের উপকূলকে রক্ষা করতে স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। তবে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার পাল্টা অভিযোগ শাসকদলের নেতা থেকে মন্ত্রীর।

বিজেপির মথুরাপুর সংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য অরুণাভ দাস বলেন, “এই রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর আর কপিলমুনিকে রক্ষার জন্য কী পরিকল্পনা করেছে তা খুলে বলতে পারেনি। এদের নির্দিষ্ট কোনও স্ট্রাটেজি নেই। শুধু জানে কী করে কাটমানি খেতে হয়।” সাগরের তৃণমূল বিধায়ক কথা সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, “কাজ করছে সেচ দফতর। প্রথম দফায় একটা কাজ হয়েছিল ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার। এটার দ্বিতীয়বার কাজ হচ্ছে। তবে এই ভাঙন নিয়ে সরাসরি মানস ভুইঞা বৈঠকে বসেছিলেন। পরিষ্কার বলেছেন যেভাবে হোক এই ভাঙন রোধ করতেই হবে।”