ডিজে বাজিয়ে মোটর বাইক র্যালি করে মনোনয়ন জমা মদনের, নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ বিরোধীরা
ডিজে বাজিয়ে প্রায় ২০০ মোটর সাইকেল নিয়ে র্যালি করে মনোনয়ন (Nomination) জমা দিতে যাওয়ার অভিযোগ উঠল মদনের বিরুদ্ধে। কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর দ্বারস্থ হচ্ছে বিরোধীরা।
কামারহাটি: কামারহাটি এলাকায় বরাবরই নিজের পছন্দে চলাফেরার অভ্যাস মদন মিত্রের (Madan Mitra)। কখনও তিনি মাথায় লাল পাগড়ি, গলায় রজনীগন্ধার মালা পরে হুড খোলা জিপে নির্বাচনী প্রচারে নামেন। কখনও আবার বিরোধী ও দলবদলুদের বিঁধতে গান গানও। রাজনীতিতে এক রঙিন চরিত্র এই ‘লাভলি বয়’। তবে সেই মদন এ বার কিছুটা বিপাকে। ডিজে বাজিয়ে প্রায় ২০০ মোটর সাইকেল নিয়ে র্যালি করে মনোনয়ন (Nomination) জমা দিতে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)-এর দ্বারস্থ হচ্ছে বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে মদনেপ পাল্টা চ্যালেঞ্জ, র্যালি করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা প্রমাণ করলে নিজে থেকেই সরে যাবেন।
বুধবার সকাল সকাল দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান মদন। এদিকে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে পুলিশের সামনে দিয়েই ২০০ বাইক বাহিনী ও ডিজে বাজিয়ে নমিনেশন জমা দিয়েছেন বলে মদনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। কামারহাটিতে মদনের বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁদের প্রশ্ন, কীভাবে পুলিশের উপস্থিতিতেই বাইক র্যালি করে নমিনেশন জমা দিতে পারেন একজন প্রার্থী? তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও। নির্বাচন কমিশনের কাছে দুই বিরোধী পক্ষই নালিশ জানাবেন বলে জানান।
যদিও বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মদন। তিনি জানান, এ দিন নিজের একটা গাড়ি ছাড়া পিছনে তাঁদের আর একটি মাত্র গাড়ি ছিল। কিন্তু বিটি রোডে হাজার হাজার মোটর বাইক যাতায়াত করে। তাঁদের মধ্যে কেউ যদি মদনকে দেখতে আগ্রহী হয়ে যোগ দেন তাহলে তাঁর কী করণীয়? প্রশ্ন তৃণমূল প্রার্থীর। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, কোনও মোটর বাইকে দলীয় পতাকা ছিল প্রমাণ করতে পারলে নির্বাচন কমিশন তাঁর প্রার্থী পদ খারিজ করার আগে নিজেই সরে যাবেন। মদন আরও বলেন, রাস্তায় কেন বাইক যাবে তার উত্তর তিনি কীভাবে দেবেন? এর জন্য কমিশন রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন আছে, তারা দেখবে।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী হবেন বাংলারই ভূমিপুত্র’, শিশির- শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে আশ্বাস মোদীর
প্রসঙ্গত, একুশের ভোটের আগে যখন একের পর এক মমতা ঘনিষ্ঠ নেতা তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়াতে নাম লিখিয়েছেন তখন প্রাক্তন মন্ত্রী নতুন করে সক্রিয় হয়েছেন দলে। এর আগে ভাটপাড়া উপনির্বাচনে অর্জুন-পুত্র পবন সিংয়ের কাছে হারের পর একুশের বিধানসভা ভোট কার্যত প্রেস্টিজ ভোট মদন মিত্রের কাছে। ভোটের প্রার্থী ঘোষণার পর মদন বলেছিলেন, ভোট দিয়ে বেরিয়ে মানুষ একটাই কথা বলবে, ‘ও লাভলি’। এখন দেখার বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেয়।