Chandrima Bhattacharya: বালুরঘাটের দণ্ডি কাটার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন চন্দ্রিমা
রাজু ঝাঁ খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের মন্তব্যের দায় তৃণমূলের নয় বলে স্পষ্ট করে দেন মন্ত্রী।
বর্ধমান: বালুরঘাটে (Balurghat) চার মহিলার দণ্ডি কাটার পর তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। আদিবাসী মহিলাদের উপর অত্যাচার করে শাসকদলে যোগ দেওয়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছে BJP। এবার এবিষয়ে মুখ খুললেন রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। দণ্ডি কাটার ঘটনা ‘নিন্দনীয়’ বলে বর্ধমানের মিছিল থেকে মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Chandrima Bhattacharya)। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, রাজু ঝা (Raju Jha) খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের মন্তব্যের দায় তৃণমূলের নয় বলে স্পষ্ট করে দেন মন্ত্রী।
শনিবার বর্ধমানে জনসভা করে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সভার আগে বীরহাটা মোড় থেকে কার্জন গেট পর্যন্ত মিছিল করেন। মিছিলে হাঁটেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, স্বপন দেবনাথ, বিধায়ক খোকন দাস সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বালুরঘাটে দণ্ডি কাটার ঘটনার নিন্দা করেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “দণ্ডি কাটার ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি দেখতে বলেছি।” সভ্য সমাজে এসব মানা যায় না। অন্যদিকে রাজু ঝা মৃত্যুর ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের মন্তব্য নিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “এটা তাঁর নিজস্ব মতামত।”
প্রসঙ্গত, বালুরঘাটের চার মহিলা বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় দেখা যায়, তাঁরা রাস্তায় দণ্ডি কাটছেন। প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা দণ্ডি কাটার পর যোগ দেন তৃণমূলে। বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপিতে যোগদানের জন্য এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে শাসকদলের তরফে। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বিক্ষোভ কর্মসূচি করে এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয় অভিযানও করে। যদিও যাঁরা এই দণ্ডি কেটেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, ভুল করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাই দণ্ডি কেটে ভুল সংশোধন করেছেন। তবে এই ঘটনাকে ভালভাবে নেয়নি রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, বালুরঘাটে দণ্ডি বিতর্কে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা দল খতিয়ে দেখবে বলেও তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
অন্যদিকে, এদিন বর্ধমানের জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নাম না করে বলেন শুভেন্দুর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ” বাংলার ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দাও, বাংলার সড়ক যোজনার কাজ বন্ধ করে দিতে বলছে কেন্দ্রকে। এসব করে বাংলাকে আটকানো যাবে না। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমাদের পাওনা টাকা আমাদের দিতে হবে।”