কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু

তাঁকে যে এই পদ থেকে অপসারিত করা হতে পারে, সেই ইঙ্গিত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। সেই মতো এদিন সৌমেন্দুকে অপসারণ করা হয় বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স থেকে

কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে অপসারিত শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু
অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করে এবার আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন সৌমেন্দু অধিকারী।
Follow Us:
| Updated on: Dec 29, 2020 | 11:12 PM

কাঁথি: পুরো অধিকারী পরিবারই তৃণমূলের পাশে থেকে সরে যেতে পারে। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এহেন ইঙ্গিত দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) প্রশাসক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল সৌমেন্দু অধিকারীকে (Soumendu Adhikari)। তিনি সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই। তবে তাঁকে যে এই পদ থেকে অপসারিত করা হতে পারে, সেই ইঙ্গিত রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন। সেই মতো এদিন সৌমেন্দুকে অপসারণ করা হয় বোর্ড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স থেকে। নতুন প্রশাসক হচ্ছেন সিদ্ধার্থ মাইতি।

অতিসম্প্রতি অখিল গিরি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, অধিকারী পরিবারের এক সদস্য তৃণমূলে থেকেই বিজেপির হয়ে কাজ করছে। সৌমেন্দু অধিকারীকে নিশানায় তিনি বলেছিলেন, “বিজেপির হয়ে কর্মসূচির আয়োজনও সে করছে। শুধুমাত্র মিছিলে হাঁটছে না। কাঁথির প্রশাসকের দ্বিচারিতা দল ও সরকার ধরে ফেলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই প্রশাসক পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও অপসারিত হওয়ার পর সৌমেন্দু বলেন, “আপনাদের থেকেই শুনলাম। কিন্তু আমার কাছে এই নিয়ে কোনও খবর বা চিঠি এখনো এসে পৌঁছয়নি। আমি অফিসেই বসে আছি।”

অধিকারী পরিবার তৃণমূল শিবিরে আরও ভাঙন ধরাতে পারে, এদিন আবার এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন শুভেন্দুও। খড়দার সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “আমি বলছি বাবুসোনা, আমি তো অকৃতদার। এখনও তো বাসন্তী পুজো আসেনি, রামনবমী হয়নি। ফুটবে তো। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। তোমার বাড়ির ভিতরেও ঢুকবো।”

আরও পড়ুন: দিনদুপুরে গুলি চলল হাওড়ায়, মৃত যুব তৃণমূল কর্মী

খড়দায় শুভেন্দু যখন এই বক্তব্য রাখছেন, তখন সৌমেন্দুকে অপসারণের খবর মেলে। তৃণমূল সূত্রে দাবি, শুভেন্দু দল ছাড়ার পর থেকে সৌমেন্দুর গতিবিধি ‘সন্দেহজনক’ ঠেকেছে। তাই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:  ‘বাবুসোনা, আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে, তোমার বাড়িতেও ঢুকবো’! অভিষেককে শুভেন্দু