গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্র হাওড়ার বি গার্ডেন, নামল র‌্যাফ

দিনদুপুরে গুলি চালানোর ঘটনায়া তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার ৩ নম্বার শালিমার গেটের কাছে

গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্র হাওড়ার বি গার্ডেন, নামল র‌্যাফ
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুতে রণক্ষেত্র হাওড়ার বি গার্ডেন, নামল ব়্যাফ
Follow Us:
| Updated on: Dec 29, 2020 | 10:31 PM

হাওড়া: দিনদুপুরে গুলি চালানোর ঘটনায়া তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার ৩ নম্বার শালিমার গেটের কাছে। গুলিবিদ্ধ হলে এক ব্যক্তিকে  আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পরে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি  তৃণমূলের (TMC) একজন সক্রিয় কর্মী। তাঁর নাম ধর্মেন্দ্র সিং, পেশায় ইমারতি ব্যবসায়ী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামতেই হাওড়ার বি গার্ডের চত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। ধর্মেন্দ্র সিং-এর উত্তেজিত অনুগামীরা গোটা এলাকায় ভাঙচুর ও বাস-টায়ারে আগুন লাগাতে শুরু করে। রণক্ষেত্রের আকার নেয় বি গার্ডেন চত্বর। এই ঘটনায় এলাকার ব্যবসায়ীরা ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। একাংশের ক্ষোভ গিয়ে পড়ে প্রশাসনের উপর। কেন পুলিস দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারল না, কেনই বা সম্পত্তি ক্ষয় ও জীবনহানীর আশঙ্কা তৈরি হল। প্রশ্ন তুলতে থাকে ব্যবসায়ীদের সংগঠন। শেষ পর্যন্ত যদিও প্রচুর পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়। নামনো হয় ব়্যাফও। বেশি রাতের দিকে ক্রমশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এলাকাজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

সূত্রের খবর, এদিন দুষ্কৃতীরা এসে গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলে বি গার্ডেন থানার পুলিস হাজির হলেও দুষ্কৃতীদের ধরা যায়নি। গুলি চালানো এবং তার জেরে মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে এলাকায়। হাওড়া-আন্দুল রোড অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা। মৃত কর্মী ওয়ার্ডের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ছিল বলে জানিয়েছেন রাজ্যর মন্ত্রী অরূপ রায়। ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ খারিজ করেন হাওড়া জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা।

আরও পড়ুন: বিজেপির পথে এবার শিশির-দিব্যেন্দু? জল্পনা নিজেই উস্কে দিলেন শুভেন্দু

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকেলে দুটি বাইকে করে ৪ জন দুষ্কৃতী এসে উপস্থিত হয় ও ধর্মেন্দ্র সিংকে পরপর ৬ বার গুলি করে চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলে এসে মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, “সম্প্রতি ও এলাকায় প্রভাব তৈরি করেছিল। মানুষের সেবা করত। এর পিছনে বিজেপির হাত থাকতে পারে। পুলিস তদন্ত করে দেখুক।” পাল্টা বিজেপি জেলা সভাপতি কটাক্ষের সুরে বলেন, “ওনার স্মৃতিটা ঠিক করা উচিত। গত ১৬ অগস্ট আমরা দেখেছিলাম এই ধর্মেন্দ্র সিংকে তৃণমূলের লোকেরা মেরে রক্তাক্ত করে দিয়েছিল। তাঁর কাছে অন্য একজনের লাইসেন্সের রিভলভারও পাওয়া গেছিল। ওনার নামে আগেও বড় বড় কেস রয়েছে। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের ফল।”

আরও পড়ুন: সারদা, নারদে তো আরও নাম আছে ও পালাল কেন? নাম না করে শুভেন্দুকে তোপ জ্যোতিপ্রিয়র