Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘বিশ্বস্ততা হারিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান’, অনাস্থা প্রস্তাব পেশ তৃণমূলের ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যের

যদিও, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান কণাদেবী বলেন, "আমি জানি না কেন আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শেই রাজনীতি করি। আমি কোনওদিনই তৃণমূল ছাড়ব বলিনি।"

'বিশ্বস্ততা হারিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান', অনাস্থা প্রস্তাব পেশ তৃণমূলের ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্যের
পঞ্চায়েত প্রধান কণাদেবী, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 3:33 PM

উত্তর ২৪ পরগনা: দলের প্রতি বিশ্বস্ততা হারিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান এমনই অভিযোগ এনে গাইঘাটা ব্লকের শিমুলপুর তৃণমূল পঞ্চায়েত (TMC) প্রধান কণা গুহের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য।

তৃণমূলের (TMC) দলীয় সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত প্রধান কণাদেবীর স্বামী ধনেশ নারায়ণ নির্বাচন আবহে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। অভিযোগ, তারপর থেকেই কণাদেবীকে আর তৃণমূলের (TMC) কোনও কাজে দেখা যায়নি। এমনকী, নির্বাচনের সময়েও দলের কাজে তাঁকে পাশে পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। কণাদেবীর এই আচরণে যারপরনাই ক্ষুব্ধ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাই বাধ্য হয়েই কণাদেবীর বিরুদ্ধে গত ১০মে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন তৃণমূল সদস্যরা। গত ২৪মে এই বিষয়ে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, করোনার প্রকোপে তা বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার জেলাশাসকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত দেওয়া হয়। যত দ্রুত সম্ভব এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলেই জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য ও শিমুলপুরের জনস্বাস্থ্য় সঞ্চালক কৃষ্ণ কমল মজুমদার বলেন, “কণাদেবীর স্বামী ধনেশ নারায়ণ নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেন। সে বার সাংবাদিক বৈঠক করে ধনেশবাবু বলেছিলেন, শুধু তিনি নন, কিছুদিন পর তাঁর স্ত্রীও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাবেন। কণাদেবী হয়ত দল এখনও ছাড়েননি, কিন্তু আসলে উনি দলের সঙ্গেও নেই। দলের কোনও কাজে তাঁকে পাওয়া যায় না। ওঁ দলের প্রতি বিশ্বস্ততা হারিয়েছেন। তাই আমরা অনাস্থা প্রস্তাব এনেছি।”

যদিও, সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান কণাদেবী বলেন, “আমি জানি না কেন আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শেই রাজনীতি করি। আমি কোনওদিনই তৃণমূল ছাড়ব বলিনি। আমার স্বামী তাঁর ব্যক্তিগত অভিমানের জেরে দল ছেড়ে গিয়েছেন। তার মানে এই নয় যে আমিও দল ছেড়ে যাব। আমি এই দলেই আছি। তৃণমূলেই থাকব।”

শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা কুড়ি। এর মধ্যে তেরোটি আসন তৃণমূলের এবং বিজেপির সাতটি। তৃণমূলের তেরোজন সদস্যের মধ্যে এগারোজনই অনাস্থা প্রস্তাব আনেন কণাদেবীর বিরুদ্ধে। যদিও, বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এটি সম্পূর্ণই তৃণমূলের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই।

আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের নামে মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা প্রচারের জন্য দুঃখিত’, মাইকিং করে ‘ভুল স্বীকার’ বিজেপি কর্মীদের!