TMC: তৃণমূলের ‘স্পেশাল ৪২’-এ ঠাঁই নেই জেলা সভাপতির, হাটে হাঁড়ি ফাটিয়ে বিধায়কের দাবি ‘হাইকমান্ড রিস্ক নেয়নি’

TMC in Raiganj: দ্বিতীয় দফাতেই ভোট রয়েছে রায়গঞ্জে। অর্থাৎ, ২৬ এপ্রিলেই। হাতে এক মাসেরও কম সময় বাকি। তার আগে হঠাৎ তৃণমূলের জেলা সভাপতির প্রসঙ্গে দলেরই বিধায়কের এমন মন্তব্য বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে। দলের প্রার্থীতালিকায় কানহাইয়ালালের জায়গা না পাওয়াটা 'দুর্ভাগ্যজনক' বলেই মনে করছেন আব্দুল করিম।

TMC: তৃণমূলের 'স্পেশাল ৪২'-এ ঠাঁই নেই জেলা সভাপতির, হাটে হাঁড়ি ফাটিয়ে বিধায়কের দাবি 'হাইকমান্ড রিস্ক নেয়নি'
তৃণমূলের পতাকাImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2024 | 5:32 PM

রায়গঞ্জ: শাসক দল তৃণমূলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা তিনি। দলের জেলা সংগঠনের দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। কিন্তু প্রার্থী হতে পারেননি এবার। কথা হচ্ছে কানহাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে। তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি হিসেবে গুরু দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। দলের সংগঠনে বড় দায়িত্ব পালনের পরও তৃণমূলের ‘বাছাই ৪২’-এর তালিকায় জায়গা পাননি কানহাইয়ালাল। তাঁর প্রার্থী না হওয়া কিছুটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেই মন্তব্য করছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার অপর বর্ষীয়ান নেতা তথা ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী।

দ্বিতীয় দফাতেই ভোট রয়েছে রায়গঞ্জে। অর্থাৎ, ২৬ এপ্রিলেই। হাতে এক মাসেরও কম সময় বাকি। তার আগে হঠাৎ তৃণমূলের জেলা সভাপতির প্রসঙ্গে দলেরই বিধায়কের এমন মন্তব্য বেশ হইচই ফেলে দিয়েছে। দলের প্রার্থীতালিকায় কানহাইয়ালালের জায়গা না পাওয়াটা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেই মনে করছেন আব্দুল করিম। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল এবার প্রার্থী করেছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে। তিনি বিধায়ক ছিলেন এতদিন। একুশের নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। প্রার্থী তালিকায় জায়গা পাওয়ার পর ‘নৈতিকতার’ কারণে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে লড়াইয়ের জন্য বেছে নিয়েছে কৃষ্ণ কল্যাণীকে।

যদিও দলের জেলা সভাপতিকে এর জন্য মন খারাপ না করারই পরামর্শ দিচ্ছেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর ব্যাখ্যা, সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা মানেই তিনি প্রার্থী হবেন, এমন কোনও মানে নেই। উদাহরণ হিসেবে বহরমপুরে ইউসুফ পাঠানের কথাও তুলে আনেন তিনি। ইসলামপুরের বিধায়ক বলেন, ‘তিনি টিকিট পাননি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। হতে পারে হাই কমান্ড রিস্ক নিল না। কিন্তু সংগঠন কারও হাতে দেওয়ার মানে, তাঁকেই প্রার্থী হতে হবে, এর কোনও কারণ নেই। যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন, যাঁকে মানুষ পছন্দ করে। এর জন্য মন খারাপ করার কোনও দরকার নেই।’

তবে জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য, ‘দলের জেলা সভাপতি হিসেবে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া আমার দায়িত্ব। করিম সাহেবকে আমি সম্মান করি। আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি, আগামী দিনেও একসঙ্গেই কাজ করব।’