AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladeshi women arrested: ‘গুলি করে মেরে দাও, বাংলাদেশে ফিরব না’, অবৈধভাবে বাংলায় ঢুকে বললেন ২ বৃদ্ধা

Bangladeshi women arrested: দুই বৃদ্ধাকে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের পুরগ্রাম ও চাঁদগাঁও- এই দুই পৃথক সীমান্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখে আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তারপর কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Bangladeshi women arrested: 'গুলি করে মেরে দাও, বাংলাদেশে ফিরব না', অবৈধভাবে বাংলায় ঢুকে বললেন ২ বৃদ্ধা
ধৃত ২ বৃদ্ধা
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2024 | 7:42 PM
Share

কালিয়াগঞ্জ: উত্তপ্ত বাংলাদেশ। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত বারবার বার্তা দিলেও হেলদোল নেই ইউনূস সরকারের। এই পরিস্থিতিতে কাঁটাতার পেরিয়ে অবৈধভাবে বাংলায় প্রবেশ করলেন দুই বৃদ্ধা। পুলিশের হাতে তাঁরা ধরা পড়েছেন। ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। তা নিয়ে বেশি ভাবছেন না দুই বৃদ্ধা। বলছেন, কোনও মতেই আর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন না।

ধৃত দুই বৃদ্ধার নাম আদো বর্মণ (৮০), এবং কাঞ্চ বালা (৭২)। আদোর বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলায় এবং কাঞ্চর বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলায়। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুরের পুরগ্রাম ও চাঁদগাঁও- এই দুই পৃথক সীমান্ত এলাকায় ভারত ভূখণ্ডে এই দুই বৃদ্ধাকে ঘুরে বেড়াতে দেখে আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তারপর কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার ধৃতদের রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

ধৃত আদো বর্মণের ছেলে সুরেন্দ্র বর্মণ ভারতের নাগরিক। তিনি বলেন, “আমার মা ইসকনের ভক্ত। বাংলাদেশে ৭ দিনের মধ্যে সংখ্যালঘুদের দেশ ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে। চোখের সামনে সংখ্যালঘুরের অত্যাচার হতে দেখছে আমার বৃদ্ধা মা। যে কারণে প্রাণ বাঁচাতে এদেশে চলে এসেছেন। তিনি বলছেন, দরকারে আমাকে গুলি করে মেরে দাও, কিন্তু আমি বাংলাদেশে ফিরব না। এই অত্যাচার দেখার চেয়ে গুলি খাওয়া ভাল। এইসব বলে চলেছেন আমার মা।” সুরেন্দ্রর আরও বক্তব্য, “আমার মা হয়তো বেশিদিন বাঁচবেন না। আমিও চাই, বাকি জীবনটা মা আমার কাছে থাকুন।”

অন্যদিকে, কাঞ্চ বালার বক্তব্য, “বাড়ি ঘর সব ভেঙে দিয়েছে। থাকার জায়গা নেই। প্রাণ ভয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে এসেছি।” শুধু এই দুই বৃদ্ধা নয়, আরও অনেক অনুপ্রবেশ ঘটে থাকতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।