বাংলাদেশে ৫০০ হিন্দু পরিবারের ওপর মুসলিম দুষ্কৃতিদের হামলা, মন্দির ভাঙচুর
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হেফাজতে ইসমাল। তাদের দাবি, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা।
ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) সুনামগঞ্জের হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালাল কয়েক হাজার দুষ্কৃতি। গতকাল অর্থাৎ বুধবার এই হামলার ঘটনায় ঘরছাড়া হতে বাধ্য হন গ্রামবাসীরা। হামলার অভিযোগ মূলত হেফাজতে ইসলাম সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলাকারীরা ওই গ্রামের ৮৮টি বাড়িঘর ও ৭-৮টি পারিবারিক মন্দির ভাঙচুর করে। চলে লুটপাটও।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে হেফাজতে ইসমাল। তাদের দাবি, এটি একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। এর সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কোনও সংযোগ নেই। দলটির কেন্দ্রীয় মহাসচিব নুরুল ইসলাম জেহাদী জানান, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা কখনওই তাদের পরিকল্পনায় ছিল না। সুনামগঞ্জের দেলা প্রশাসক মি. হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত সোমবার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলায় একটি ধর্মীয় সমাবেশে বক্তব্য পেশ করেছিলেন হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও মামুনুল হুক।
এরপরই নোয়াগাঁও গ্রামের একজন হিন্দু যুবত মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তারপরই ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু পরের দিনই ওই যুবকের গ্রামে এই হামলা হয় বলে অভিযোগ। হামলা চলাকালীন গ্রামবাসীরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। পরে গ্রামবাসীরা ঘরে ফেরেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে প্রশাসনের তরফে। ৮৮টি পরিবারে হামলার খবর প্রকাশ্যে এলেও স্থানীয়দের মতে হামলা হয়েছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বাড়িতে। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে চায় চিন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বার্তা জিনপিংয়ের