উধাও একের পর এক পেজ, ফেসবুকে ডার্ক থার্সডে

ফেসবুকে খবর দেখা ও খবর শেয়ার করার সুযোগ বন্ধ করেছে জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠান।

উধাও একের পর এক পেজ, ফেসবুকে ডার্ক থার্সডে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 18, 2021 | 12:47 PM

মেলবোর্ন: টানাপোড়েন চলছিল অনেক দিন ধরেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে উবে গেল নিউজ ওয়েবসাইটের ফেসবুক(Facebook) পেজগুলি। সকাল থেকেই একের পর এক দেশি, বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের পেজগুলিতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়াবাসী (Australia) দেখেন, সব পেজগুলি ফাঁকা। তারপর জানা যায়, অস্ট্রেলিয়াবাসীর জন্য ফেসবুকে খবর দেখা ও খবর শেয়ার করার সুযোগ বন্ধ করেছে জুকারবার্গের প্রতিষ্ঠান।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোনটা হাতে নিয়েই এক ঝলক ফেসবুক স্ক্রল রোজনামচায় এসে গিয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবারের সকালটা ছিল এক্কেবারে আলাদা। এ দিন সকাল থেকেই অস্ট্রেলিয়ায় ফেসবুক বন্ধ করেছে সব ধরনের সংবাদ মাধ্য়মের পেজগুলি। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া স্কট মরিসনের সরকার একটি আইনের প্রস্তাব এনেছিল, যেখানে ফেসবুকে সংবাদ প্রকাশের জন্য় সংশ্লিষ্ট সংবাদ মাধ্যমে মুনাফার কিছু অংশ দেওয়ার কথা জানিয়েছিল মরিসন প্রশাসন। কিন্তু এই নিয়ম মানতে নারাজ অস্ট্রেলিয়ার শাসক দল।

সেই আবহেই একের পর এক সংবাদ মাধ্যমের পেজ বন্ধ করে দিল ফেসবুক। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থায় সমালোচনায় সরব অস্ট্রেলিয়া প্রশাসন। সে দেশের যোগাযোগ মন্ত্রী পল ফ্লেচার ঘটনার প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, নিজের সুনাম ও অবস্থানের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ ফেসবুকের গ্রহণযোগ্যতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

কী নিয়ে টানাপোড়েন?

ফেসবুক ছাড়াও গুগলের সঙ্গে মতভেদ দেখা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের। সে দেশের শাসক দল সম্প্রতি একটি আইন আনার কথা জানিয়েছে। যেখানে গুগল, ফেসবুকের উল্টো পথে হেঁটে সে দেশের কনটেন্ট বিনামূল্যে ব্যবহারের বিপক্ষে আইন আনতে চলেছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকারের বক্তব্য, গুগল বা ফেসবুক অন্যদের নিজস্ব কনটেন্ট ব্যবহার করে মুনাফা লুটছে। সে ক্ষেত্রে মুনাফা পাচ্ছেন না যাঁরা আসলে কনটেন্ট তৈরি করেছেন। তাই অস্ট্রেলিয়া সরকার গুগলের বিরুদ্ধে হাঁটার কথা জানিয়েছে।

তারই পাল্টা দিতে গিয়ে গুগল অস্ট্রেলিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে আনার ‘হুমকি’ দিয়েছে। যার ফলে চিন্তায় পড়েছেন সে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ গুগল ব্যবহারকারী। কিন্তু স্কট মরিসনের সাফ কথা, নির্বাচিত সরকারের আইন সকলকে মানতে হবে, নয়ত ব্যবসা গুটিয়ে নিলে বলার কিছু নেই। এরপর সেই নতুন আইন ইতিমধ্যেই সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছে। তারপরই সব সংবাদ মাধ্যমের পেজগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল ফেসবুক।

আরও পড়ুন: ব্যবহার করা যাবে না গুগল? চিন্তায় ঘুম উড়েছে গোটা দেশের

আরও পড়ুন: চিন সাগরে ‘হানা’ মার্কিন রণতরীর, ঘুম উড়েছে জিনপিংয়ের