Bangladesh News: সমুদ্রপথে আসছে গোলা-বারুদ! আটঘাঁট বেঁধে কোন যুদ্ধের জন্য় প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউনূস?
Bangladesh News: এখানেই না থেমে তাঁর আরও দাবি, সমুদ্রপথ হয়েই তলে তলে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। আর এই মজুতের পিছনে যে পাকিস্তানের ইন্ধনকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন হাসিনার সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী।
ঢাকা: নতুন কোনও ষড়যন্ত্র তৈরি করছে বাংলাদেশ? হাসিনার সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর অভিযোগে তো এমনটাই মনে করছে, আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। কী সেই অভিযোগ? বাংলাদেশের আগের সরকারের মুক্তি যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের দাবি, সমুদ্র পথের মাধ্যমে তলে তলে আগ্নেয়াস্ত্র আমদানি করছে ইউনূসের বাংলাদেশ।
সম্প্রতি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারেই এমন অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আগস্ট গণঅভ্য়ুত্থানে বাংলাদেশের স্থানীয় থানাগুলি থেকে লুঠ হয়ে যায় একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র। যা আজও উদ্ধার করতে পারেনি তদারকি সরকার।’
এখানেই না থেমে তাঁর আরও দাবি, সমুদ্রপথ হয়েই তলে তলে বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। আর এই মজুতের পিছনে যে পাকিস্তানের ইন্ধনকেই ইঙ্গিত দিয়েছেন হাসিনার সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশকেও একটা ব্যর্থ দেশ হওয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছে এই সরকার।’
উল্লেখ্য, পালাবদলের পর বাংলাদেশে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে বিশ্বজুড়ে একটা চিন্তার আবহ তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে হাত মেলাতে যে সুর নরম করেছে ইউনূসের তদারকি সরকারের, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তাদের আরও দাবি, হাসিনার ক্যাবিনেটের মন্ত্রীর কথা কিন্তু একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। তার অন্যতম কারণ, এই নিয়ে দু’বার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে মাল বোঝাই কারগো জাহাজ পাঠাল পাক।
পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে আরব আমিরশাহি হয়ে বাংলাদেশে আসছে এই মালবোঝাই জাহাজটি। সমুদ্রপথে সম্পর্ক তৈরি ছাড়াও, সামরিক বন্ধুত্বেও যে জোর দিয়েছে পাক-বাংলাদেশ, তা নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই।
দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের একটি সেনা আধিকারিকদের প্রতিনিধি দল পাকিস্তানে গিয়ে গোপন বৈঠক সেরে আসে সেদেশের সেনা-প্রধানদের সঙ্গে। পাল্টা, বাংলাদেশে গোপন বৈঠক করতে হাজির হন পাক সেনাকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল। সেই দলের আবার নেতৃত্বে ছিলেন পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর প্রধান আসিম মালিক।