Joe Biden: বাইডেন পদবীধারীর চিঠি ঘিরে রহস্য, সত্যিই কি ভারতের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের?
Joe Biden's Connection with India: মশকরা করে বাইডেন বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়াশিংটন এসেছেন তাঁর ভারতের সঙ্গে যোগসূত্রকে খুঁজে বের করতেই।
ওয়াশিংটন: কেবল ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্য়ারিস(Kamala Harris)ই নন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডে(Joe Biden)-র সঙ্গেও রয়েছে ভারতের যোগ। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে এল সেই তথ্যই।
করোনাকালে এই প্রথমবার মার্কিন সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রথমবার সামনাসামনি সাক্ষাৎও হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে। দুই দেশের রাষ্ট্রনেতাদের মধ্য়ে একান্ত আলাপচারিতায় প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পরিবার নিয়ে কথা উঠতেই সামনে এল তাঁর ভারতীয় যোগ।
বাইডেন জানান, তিনি প্রথমবার সেনেট (Senate) হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরই মুম্বই(Mumbai)-র এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি একটি চিঠি পান। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তাঁর পদবীও নাকি বাইডেন।
সেই সময় তিনি চিঠির ওই ব্য়ক্তিকে খুঁজে বের করার সময় পাননি তিনি। পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে তিনি যখন ভারতে এসেছিলেন, সেই সময়ও তিনি ভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম সূত্রেই জানতে পেরেছিলেন যে ভারতেও বেশ কয়েকজন বাইডেন পদবীর বাসিন্দা রয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আগে কখনও না বললেও, আমি আগেই জানতে পেরেছিলাম যে ভারতে ক্য়াপ্টেন জর্জ বাইডেন বলে একজন ইস্ট ইন্ডিয়া টি কম্পানি(East India Tea Company)-র ক্য়াপ্টেন ছিলেন।”
বাইডেন প্রায় সময়ই নিজের আইরিশ পূর্বপুরুষদের নিয়ে কথা বললেও ব্রিটেনের সঙ্গেও যে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে, তা তিনি প্রথমে স্বীকার করতে চাননি বলেই জানান।
ক্য়াপ্টেন জর্জ বাইডেন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করলেও তিনি এতটুকুই জানতে পেরেছিলেন যে জর্জ বাইডেন ভারতীয় কোনও এক মহিলাকে ভালবেসে বিয়ে করেন এবং ভারতেই থেকে যান।
এরপরই মশকরা করে বাইডেন বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ওয়াশিংটন এসেছেন তাঁর ভারতের সঙ্গে যোগসূত্রকে খুঁজে বের করতেই।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জানান, তাঁর কথা শুনেই ওই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেন তিনি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভারতের সঙ্গে যোগসূত্র সম্পর্কিত বেশ কিছু নথিও এনেছেন সঙ্গে।
অবাক চোখে বাইডেন প্রশ্ন করেন, “সত্যিই কি আমার সঙ্গে কোনও যোগসূত্র রয়েছে ভারতের?”
জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, সত্যিই ব্রিটিশ শাসক ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির সূত্রে ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে ৪৬তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।
শুক্রবার প্রথমবার মুখোমুখি সাক্ষাৎ হলেও এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের মোট তিনবার সাক্ষাৎ হয়েছে, তবে প্রতিটিই ভার্চুয়াল মাধ্যমে। মার্চ মাসে কোয়াডের ভার্চুয়াল সামিট ও এপ্রিল মাসে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ভার্চুয়াল সামিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
শুক্রবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, পারস্পরিক বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা করেন। নতুন মার্কিন প্রশাসনের একাধিক উদ্য়োগের প্রশংসা করেও প্রধানমন্ত্রী জানান, কীভাবে এই উদ্যোগগুলির মাধ্যমে উপকার পাচ্ছেন মার্কিনবাসী সহ অন্যান্য দেশের বাসিন্দারাও।
আরও পড়ুন: PM Modi: ইতিহাসের পাতাতেও লেখা রইল ভারত-আমেরিকার বন্ধুত্ব! মার্কিন সফরকে স্মরণীয় করে তুললেন নমো