Pakistan Ababeel missiles: ভারতের হাতে ‘দিব্যাস্ত্র’, কাঁপছে পাকিস্তান! বাঁচাবে ‘আবাবীল’?
Pakistan Ababeel missiles: আরব নিউজে এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন পাক সামরিক বিশ্লেষক তথা অধ্যাপক, ড. জাফর নওয়াজ জসপাল। ভারতের হাতে এমআইআরভি প্রযুক্তি এসে যাওয়ায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা যে ঝুঁকির মুখে, স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ভারতের হাতে এর আগেই যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছিল, তাতে সব বড় পাক শহরেই হামলা চালাতে পারত ভারতীয় সেনা। কিন্তু, এমআইআরভি প্রযুক্তি জটিলতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: ভারতের হাতে এসে গিয়েছে ‘দিব্যাস্ত্র’, মাল্টিপল ইন্ডিপেন্ডেন্টলি টার্গেটেবল রিএন্ট্রি ভেহিকল বা এমআইআরভি প্রযুক্তি সম্বৃদ্ধ অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্র। ফলে, একটি ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যেই একধিক ওয়ারহেড নিক্ষেপ করা যাবে। একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপেই একসঙ্গে নিশানা করা যাবে বেজিং, সাংহাই, ইসলামাবাদের মতো শহর। স্বাভাবিকভাবেই, এক ধাক্কায় ভারতের সামরিক ক্ষমতা এতটা বেড়ে যাওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে পাকিস্তানের। এই অবস্থায় ভারতের জবাব হতে পারে তাদের নিজস্ব এমআইআরভি প্রযুক্তি সম্বৃদ্ধ ক্ষেপণাস্ত্র, ‘আবাবীল’। এমনটাই মনে করছে ইসলামাবাদ।
সম্প্রতি, আরব নিউজে এই বিষয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন পাক সামরিক বিশ্লেষক তথা অধ্যাপক, ড. জাফর নওয়াজ জসপাল। ভারতের হাতে এমআইআরভি প্রযুক্তি এসে যাওয়ায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা যে ঝুঁকির মুখে, স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, ভারতের হাতে এর আগেই যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছিল, তাতে সব বড় পাক শহরেই হামলা চালাতে পারত ভারতীয় সেনা। কিন্তু, এমআইআরভি প্রযুক্তি জটিলতা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে যে সকল সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, এই নয়া প্রযুক্তি সেগুলিকে ভোঁতা করে দিয়েছে। এই অবস্থায় ভারত উপমহাদেশিয় অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাস করেছেন ড. জসপাল।
পাকিস্তানের শাহিন ক্ষেপণাস্ত্রগুলির বিরুদ্ধে ভারত সফল প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যার জেরে পাকিস্তানও এমআইআরভি প্রযুক্তি হাতে পেতে মরিয়া। ‘আবাবীল’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের আওতায় গবেষণা চলছে। ছয় বছর আগে, ২০১৭ সালেই তারা দাবি করেছিল, এই প্রযুক্তি অর্জন করেছে তারা। কিন্তু, তারপর থেকে মাত্র ২-৩বার তারা এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করেছে। গত বছরের নভেম্বরে শেষবার পাকিস্তান এই প্রযুক্তির পরীক্ষা করেছিল। ১২৩০ কিলোমিটার আকাশসমা জুড়ে সতর্কতা জারি করেছিল। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বালোচিস্তানেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই ক্ষেপণাস্ত্র। পাকিস্তান অবশ্য প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা সফল বলে দাবি করেছিল। পরে তাদের মিথ্যা ধরা পড়ে যায়। এই অবস্থায় ‘আবাবীল’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের গতি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন ড. জসপাল। নাহলে এই এলাকায় শক্তির ভারসাম্য থাকবে না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই পাক সামরিক বিশ্লেষক।