Pakistan China: ৪,৩০,০০,০০,০০,০০০ টাকার চুক্তি! তলে তলে পাকের হাতে পৌঁছে গেল চিনা ‘সমুদ্র-শক্তি’
Pakistan China: আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে বরাবরের দাপট ভারতীয় নৌসেনার। এ দেশের সাবমারিনের সামনে কোনও কালেই টিকতে পারেনি পাকিস্তানি ডুবোজাহাজগুলো।

নয়াদিল্লি: নতুন অর্থবর্ষে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াতে বাজেটে লাল ফৌজের জন্য বাড়তি বরাদ্দের ঘোষণা করেছে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। নতুন অর্থবর্ষে আগের তুলনায় ৭.২ শতাংশ বাড়ানো হবে সামরিক ব্যয়। তবে মনে হচ্ছে, শুধুই নিজেদেরই নয়, পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বাড়াতেও উদ্যত্ত হয়েছে চিনের সরকার।
সম্প্রতি, উহান হয়ে পাকিস্তানের করাচিতে চুক্তি মোতাবেক দ্বিতীয় ‘হ্যাঙ্গর ক্লাস সাবমেরিন’ পাঠিয়ে দিয়েছে তারা। সেদেশের নৌসেনাকে আগের তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী করবে এই নতুন প্রযুক্তির চিনা সাবমেরিন। জানা গিয়েছে, এরকমই আরও ছয়টি সাবমেরিন পাঠাবে চিন। যার বিনিময়ে চিনের হাতে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা তুলে দেবে পাকিস্তান।
আরব সাগর ও ভারত মহাসাগরে বরাবরের দাপট ভারতীয় নৌসেনার। এ দেশের সাবমারিনের সামনে কোনও কালেই টিকতে পারেনি পাকিস্তানি ডুবোজাহাজগুলো। সেই দুর্নাম ঘোঁচাতেই যেন এবার চিনের কাছে ‘হাত পেতেছে’ তারা।
উল্লেখ্য, শুধু সাবমেরিন নয়। যখন ভারতকে F-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে উদ্যত্ত হয়েছে আমেরিকা। সেই আবহেও চিনের সঙ্গে আমেরিকা এফ-৩৫ এর পাল্টা যুদ্ধবিমান আনাতে ক্রমাগত আলোচনা, বৈঠক চালিয়েছে পাকিস্তান। চিনের তৈরি ৪০ জে-৩৫এ (40 J-35A) যুদ্ধবিমান কিনতে কার্যত মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা। এমনকি, শিয়ের দেশ থেকে নতুন নতুন সামরিক সরঞ্জাম কিনতে এই অর্থবর্ষে সামরিক বাজেটে ৯.৫৩ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছে পাকিস্তান, দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। একই রকম ভাবে বরাদ্দ বৃদ্ধি দেখা গিয়েছিল গত অর্থবর্ষেও।
একটি পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে সেনায় যুক্ত হওয়া সামরিক সরঞ্জামের ৮১ শতাংশ সরঞ্জাম চিনা। সেই সূত্র ধরেই ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, তলে তলে ভারতের বিরুদ্ধে শক্তি বাড়াতে চিন নিজের দোসর করেছে পাকিস্তানকে।





