কড়া বার্তা দেওয়া হবে চিনকে, প্রথমবার কোয়াড বৈঠকে মুখোমুখি মোদী-বাইডেন
ভ্যাকসিন প্রস্তুতির লড়াইয়ে আপাতত প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত (India) ও চিন(China)। কীভাবে প্রতিবেশী দেশকে টক্কর দিয়ে অধিক পরিমাণে করোনা টিকা( COVID Vaccine) উৎপাদন করা যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা হবে কোয়াড (QUAD) বৈঠকে। প্রথমবার বৈঠকের অংশ হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden)।
নয়া দিল্লি: করোনা ভ্যাকসিনের উৎপাদনে আরও জোর দেওয়ার পাশাপাশি চিনের চোখরাঙানির জবাব দিতে বৈঠকে বসছে “কোয়াড” (QUAD)। করোনা পরিস্থিতির মাঝেই চার দেশের বাণিজ্যিক ও রণকৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার ভার্চুয়াল বৈঠকে বসছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi), মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন(Joe Biden), অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন (Scott Morrison) ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী যোশিহিদে সুগা(Yoshihide Suga)। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে বসার পর এই প্রথম নমোর সঙ্গে মুখোমুখি হতে চলেছেন জো বাইডেন। তবে তাঁদের মধ্যে ভিন্ন বৈঠক হবে কিনা, তা জানা যায়নি।
চিনের একাধিপত্যের জবাবেই ২০১৭ সালে ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে কোয়াড সামিটের আয়োজন করা হয়। সেই বছরই কোয়াড অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর মহড়াও চালিয়েছিল। তবে চিনের তরফে এর বিরুদ্ধে কড়া বার্তা পাঠানোতেই কিছুটা দমে যায় সংগঠন। গত বছরের অক্টোবর মাসেও বৈঠকে দক্ষিণ চিন সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের সমালোচনা করা হয়। নভেম্বর মাসেই বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে চার দেশের মিলিত সামরিক মহড়া মালাবার ২০২০-ও অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মার্চে পরপর চার দিন বন্ধ থাকবে ব্যাঙ্ক, ব্যাহত হতে পারে এটিএম পরিষেবাও
শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ বৈঠকে বসবেন তিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আজকের বৈঠকে চার দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তবে বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হবে করোনা টিকা উৎপাদন। ভারত ও চিন-দুই প্রতিপক্ষ দেশই ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন ও বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। চিনকে টক্কর দিয়ে মার্কিন ও জাপানের আর্থিক সহযোগিতায় যাতে ভারতে অধিক পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা যায়, তার উপরই জোর দেওয়া হবে। এছাড়াও চিনের সামরিক শক্তিকে কীভাবে দমিয়ে রাখা যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে।
ইতিমধ্যেই অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে চিনের আধিপত্য নিয়ে আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে চিনের সঙ্গে সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এই বৈঠকে ভারতের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হল চিকিৎসা ও ওষুধ প্রস্তুতকারক হিসাবে বিশ্বের কাছে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য সঙ্গী হিসাবে প্রমাণিত করা।
বৈঠকের শুরুতে চার দেশের প্রধানদের মধ্যে সাধারণ আলাপচারিতার পরই রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুরু হবে। বৈঠক শেষে চার দেশের তরফে একটি যৌথ বিবৃতিও প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলার বিধানসভায় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব এক্তিয়ার বহির্ভূত, সুপ্রিম কোর্টে মামলা