Suicide Pod: এই প্রথম আত্মহত্যার যন্ত্রে মৃত্যু মহিলার, বিশ্ব জুড়ে হইচই, গ্রেফতার বেশ কয়েকজন
সুইসাইড পড বা আত্মহত্যার ক্যাপসুল প্রথমবারের মতো ব্যবহার করে আত্মঘাতী হলেন এক মহিলা। আর এই ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। সেই দেশের শ্যাফহাউসেন অঞ্চলের পুলিশ জানিয়েছে, আত্মহত্যায় সহায়তা করা এবং প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বার্ন: একটি ক্যাপসুল, না অসুখ-বিসুখ হলে ডাক্তাররা যে ওষুধের ক্যাপসুল দেয়, সেই রকম না। একজন মানুষ ঢুকতে পারে এমন একটি ক্যাপসুল বা পড। তার মধ্যে ঢুকে একটি সুইচ টিপলেই করা যায় আত্মহত্যা। নেদারল্যান্ডসের এক সংস্থার এই অভিনব উদ্যোগের কথা আগেই জানা গিয়েছিল। গত জুলাই মাসেই জুরিখে ‘সারকো’ নামের এই যন্ত্রের প্রদর্শনী হয়েছিল। এক্সটি ইন্টারন্যাশনাল নামের সংস্থাটি বলেছিল, চিকিত্সকদের তত্ত্বাবধান ছাড়াই নিজের জীবন শেষ করতে চান যাঁরা, এটা তাদেক জন্য। আর এবার সুইজারল্যান্ডে, সেই Sui
ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর)। পুলিশ জানিয়েছে, মেরিশাউসেন নামে জার্মান সীমান্তবর্তী সুইজারল্যান্ডের এক কম জনবহুল এলাকায়, জঙ্গলের মধ্যে একটি বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। একটি আইন সংস্থা এই বষয়ে পুলিশকে খবর দিয়েছিল। কিন্তু, তারা সেখানে পৌঁছনোর আগেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে যায়। পরে, ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সেই যন্ত্র এবং মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে। ঠিক কতজনকে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা কারা, কিছুই জানানো হয়নি। নিহত মহিলারও নাম-পরিচয় জানানো হয়নি। এই ঘটনায় একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
জুলাই মাসে, সারকো পডের নির্মাতারা জানিয়েছিলেন, এই বছরেই সম্ভবত প্রথমবারের মতো এটি ব্যবহার করা হবে বলে তারা আশা করছে। তারা আরও জানিয়েছিল, এই যন্ত্র ব্যবহার করে আত্মহত্যা করতে গেলে কোনও ওষুধ বা ডাক্তার লাগে না। এটি পোর্টেবল, অর্থাৎ ইচ্ছামতো সব জায়গায় বহন করা যাবে। ৩ডি প্রিন্ট করেই এর অংশগুলো তৈরি করে ফেলা যায় এবং বাড়িতেই সেগুলি একত্রিত করা যেতে পারে। এই পড বা ক্যাপসুলের ভিতরে ঢুকে কোনও ব্যক্তি একটি বোতাম টিপলেই, ওই বন্ধ চেম্বারের মধ্যে বিষাক্ত নাইট্রোজেন গ্যাস প্রবেশ করতে শুরু করে। প্রথমে সেই ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়বেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যাবেন। তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি।
সুইস আইনে পরিস্থিতি বিশেষে নিজের জীবন শেষ করার অনুমতি দেওয়া হয়। তাই যে সমস্ত দেশে ইচ্ছামৃত্যু বেআইনি, তারা সাধারণত নিজের জীবন শেষ করার জন্য সুইজারল্যান্ডেই যায়। তবে, তার অনেক শর্ত রয়েছে। ইচ্ছামৃত্যু হবে কোনও ‘বাহ্যিক সহায়তা’ ছাড়া। যারা সেই প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবে, তাদের ‘নিজেদের কোনও স্বার্থ সিদ্ধি’ হলে চলবে না। তবে, সুইজারল্যান্ডও এর আগে সারকো পড উদ্যোগের বিরোধিতা করেছিল। সমালোচকদের আশঙ্কা, যন্ত্রটির অত্যাধুনিক নকশা আত্মহত্যার প্ররোচনা হতে পারে। এছাড়া চিকিৎসকদের তদারকি ছাড়া এই প্রক্রিয়া চালানো হলে তা উদ্বেগজনক হবে।