AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Techie Death in USA: বর্ণবিদ্বেষ? আমেরিকায় ভারতীয় যুবককে গুলি করে মারল পুলিশ, কী দোষ ছিল তাঁর?

Telangana Techie Shot Dead in US: নিহত যুবকের নাম মহম্মদ নিজামুদ্দিন (৩০)। জানা গিয়েছে, ওই যুবক আদতে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। ক্যালিফর্নিয়ার সান্টা ক্লারাতে থাকতেন নিজামুদ্দিন, সেখানেই একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রুমমেটের সঙ্গে কোনও কারণে বচসা হয় নিজামুদ্দিনের।

Indian Techie Death in USA: বর্ণবিদ্বেষ? আমেরিকায় ভারতীয় যুবককে গুলি করে মারল পুলিশ, কী দোষ ছিল তাঁর?
পুলিশের গুলিতে তেলঙ্গানার যুবকের মৃত্যু আমেরিকায়।Image Credit: X
| Updated on: Sep 19, 2025 | 8:19 AM
Share

ওয়াশিংটন: ভারতীয় যুবককে গুলি মার্কিন পুলিশের। মৃত্যু যুবকের। পরিবারের অভিযোগ, বর্ণবিদ্বেষের শিকার তাদের সন্তান। মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিহত যুবকের নাম মহম্মদ নিজামুদ্দিন (৩০)। জানা গিয়েছে, ওই যুবক আদতে তেলঙ্গানার বাসিন্দা। ক্যালিফর্নিয়ার সান্টা ক্লারাতে থাকতেন নিজামুদ্দিন, সেখানেই একটি তথ্য প্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর রুমমেটের সঙ্গে কোনও কারণে বচসা হয় নিজামুদ্দিনের। ঝগড়ার মাঝে রুমমেটটে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন নিজামুদ্দিন, এমনটাই অভিযোগ। এরপরই পুলিশ তাঁকে গুলি করে হত্যা করে।

মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর ৯১১-এ (ইমার্জেন্সি সার্ভিস)  সান্টা ক্লারার একটি বাড়িতে ছুরিকাঘাতের ঘটনার খবর আসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহম্মদ নিজামুদ্দিনের হাতে ছুরি দেখতে পায়। সে তাঁর রুমমেটকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছিল। গুরুতর আহত ছিল ওই যুবক। বাধ্য হয়ে পুলিশ গুলি চালায়। ভারতীয় যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা পরে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আক্রান্ত যুবক এখনও চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে, নিজামুদ্দিনের পরিবারের দাবি, সে-ই পুলিশকে ফোন করেছিল সাহায্য চেয়ে। কিন্তু পুলিশ এসে কোনও কথা না শুনে তাঁকেই গুলি করে। পরিবারের দাবি,  নিজামুদ্দিন খুবই শান্ত স্বভাবের এবং ধর্মপ্রাণ ছিলেন। তবে আমেরিকায় বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হত তাঁকে। এই নিয়ে সরবও হয়েছিলেন। যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, সেখানে বেতনে কারচুপি ও অনৈতিকভাবে ছাঁটাই নিয়েও সরব হয়েছিলেন। লিঙ্কডইন পোস্টেও সেই উল্লেখ রয়েছে।

বিদেশ মন্ত্রকের কাছে এই বিষয় নিয়ে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে চিঠিও লেখা হয়েছে। তবে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি মেলেনি।