Trump assassination attempt: কে এই রায়ান রুথ, যে ট্রাম্পকে মারতে চাইল?

Trump assassination attempt: এফবিআই জানিয়েছে, গলফ কোর্সের পাশের ঝোপে লুকিয়ে ছিল সেই বন্দুকধারী। তার নাম রায়ান ওয়েসলি রুথ, বয়স ৫৮ বছর। রাশিয়া-ইউক্রেনের যে যুদ্ধে সে ইউক্রেনের সমর্থক। কে এই রায়ান ওয়েসলি রুথ? কেন সে হামলা চালাতে গিয়েছিল ট্রাম্পের উপর?

Trump assassination attempt: কে এই রায়ান রুথ, যে ট্রাম্পকে মারতে চাইল?
ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টার সন্দেহে ধৃত রুথImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Sep 16, 2024 | 11:21 AM

ফ্লোরিডা: ফের একবার হত্যার চেষ্টা প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট তথা আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সিক্রেট সার্ভিসের তৎপরতায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। সন্দেহভাজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। এফবিআই জানিয়েছে, গলফ কোর্সের পাশের ঝোপে লুকিয়ে ছিল সেই বন্দুকধারী। তার নাম রায়ান ওয়েসলি রুথ, বয়স ৫৮ বছর। কে এই রায়ান ওয়েসলি রুথ? কেন সে হামলা চালাতে গিয়েছিল ট্রাম্পের উপর?

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রুথ হাওয়াই প্রদেশের বাসিন্দা। উত্তর ক্যারোলিনার গ্রিন্সবরোতে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় তার প্রোফাইল খুঁজে পেয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তারা সেই অ্যাকাউন্টগুলি বিশ্লেষণ করে জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেনের যে যুদ্ধ চলছে, তাতে রুথ ইউক্রেনকে সমর্থন করে। বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দেখা গিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রচেষ্টার জন্য সেনা নিয়োগে সহায়তা করার চেষ্টা করছেন তিনি। এক পোস্টে সে লিখেছে, “আমি ক্রাকোতে উড়ে যেতে চাই। স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে লড়াই করতে ও মরতে আমি ইউক্রেন সীমান্তে যেতে ইচ্ছুক।”

নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরুর পর, ২০২৩ সালে তারা রুথের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। রুথ তাদের জানিয়েছিল, সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই সে ইউক্রেনে গিয়েছিল। তার কোনও সামরিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও, সে ইউক্রেন বাহিনীতে আফগান সৈন্যদের নিয়োগ করতে সহায়তা করেছিল। রুথ আরও বলেছিল, ইউক্রেনের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে, রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দেখা করার জন্য সে ওয়াশিংটনেও গিয়েছিল। নিউ ইয়র্ক টাইমস আরও জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় রুথ ঘন-ঘন মানবাধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের কথা বলেছে। এক পোস্টে রুথ লিখেছে, “অসামরিকদের অবশ্যই এই যুদ্ধর গতি পাল্টে দিতে হবে এবং ভবিষ্যতের যুদ্ধ প্রতিরোধ করতে হবে।” তার হোয়াটসঅ্যাপ বায়োতে ​​লেখা, “আমাদের প্রত্যেককে মানবাধিকার, স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য ছোট ছোট পদক্ষেপ করতে হবে।”

২০২০ সালে সে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্সকে সমর্থন করেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বাইডেনকে “ঘুমন্ত জো” বলে উপহাস করেছিল। তবে, সে ঘোরতর ট্রাম্প বিরোধী। তাঁর মতে ট্রাম্প আমেরিকাকে ফের মহান নয়, বরং আমেরিকানদের ফের দাস করে তুলবেন। এমন গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী মানুষটি এই প্রথম হিংসার রাস্তায় হাঁটল তা নয়। ২০০২ সালে, গ্রিনসবোরোতে একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র-সহ সে নিজেকে একটি ভবনের ভিতরে বন্দি করেছিল। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তবে ট্রাম্প বিরোধিতায় কেন সে হাতে অস্ত্র তুলে নিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।