Bangladesh: কোটি-কোটি টাকার সাহায্য, বাংলাদেশের মাথায় হাত বোলানো শুরু আমেরিকার

Bangladesh: রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংস্কার-সংক্রান্ত এজেন্ডা বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চাইল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালী সরকার। ইউনুসের কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয় তাঁর। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট জানিয়েছে, বাংলাদেশকে তারা ২০ কোটি ২২ লক্ষ মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে।

Bangladesh: কোটি-কোটি টাকার সাহায্য, বাংলাদেশের মাথায় হাত বোলানো শুরু আমেরিকার
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইউনুস Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Updated on: Sep 16, 2024 | 10:10 AM

ঢাকা: হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশের মাথায় হাত বোলানো শুরু করে দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংস্কার-সংক্রান্ত এজেন্ডা বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চাইল বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালী সরকার। শেখ হাসিনার পতনের পর, এদিন বাংলাদেশ সফরে এসেছিল মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের আন্তর্জাতিক অর্থবিষয়ক সহকারি সচিব, ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বাধীন এক মার্কিন প্রতিনিধি দল। এই দলে ছিলেন মার্কিন বিদেশ দফতরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারি সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু-ও। তাঁদের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তাগুলি তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।

ইউনুসের কার্যালয় জানিয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা হয় তাঁর। ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামি লিগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতি কী, সেই সম্পর্কে সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলকে জানান ইউনুস। তিনি জানান, বিচার বিভাগ, পুলিশ, নির্বাচন কমিশন এবং সংবিধান সংস্কারের জন্য একটি দুর্নীতিবিরোধী দল গঠনের পাশাপাশি ছয়টি কমিশন গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইউনুস বলেন, “দেশের পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং চুরি হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে মার্কিন সমর্থন চাই।” তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের জন্য এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।”

অপরদিকে, ইউনুস সরকারকে অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দলটি। এমনটাই জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা বলেছে, “আমরা আমাদের অংশীদার বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সুযোগ সম্প্রসারণ, প্রতিষ্ঠান নির্মাণ, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং জলবায়ু ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” শুধু মুখের কথা নয়, ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট জানিয়েছে, সার্বিক উন্নয়ন, যুবদের ক্ষমতায়ন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করা, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি এবং জনগণের জন্য বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশকে তারা ২০ কোটি ২২ লক্ষ মার্কিন ডলার সহায়তা দেবে।

মার্কিন প্রতিনিধি দলের এই সফরের দিকে কড়া নজর রয়েছে নয়া দিল্লির। শেখ হাসিনার পতনের পর এই প্রথম এই ধরনের উচ্চ-পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে এল। শেখ হাসিনা মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক সমালোচক ছিলেন। বাংলাদেশ ছাড়ার পরও তিনি অভিযোগ করেছেন, যে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের জেরে তিনি ঢাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, তা আসলে ছিল মার্কিন ষড়যন্ত্র। তাঁর দাবি, বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপে সেনা ঘাঁটি গড়তে চেয়েছিল মার্কিনিরা। তিনি রাজি না হওয়াতেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, মহম্মদ ইউনুসের ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই হাসিনা বিদায়ের পর, বাংলাদেশে মার্কিনিরা ছড়ি ঘোরাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।