AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Disease X: WHO-র চরম সতর্কবার্তা, কী এই ‘ডিজিজ X’, যা করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর মহামারি আনতে পারে?

WHO: বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনার পরবর্তী যে মহামারি আসবে, তার প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর হবে। আগামি কয়েক বছরের মধ্য়ে যে রোগগুলি মারণ রোগ হয়ে উঠতে পারে, তার তালিকায় রয়েছে ইবোলা, সার্স, জ়িকা, লাসা ফিভার, নিপা এবং ডিজিজ এক্স (Disease X)।

Disease X: WHO-র চরম সতর্কবার্তা, কী এই 'ডিজিজ X', যা করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর মহামারি আনতে পারে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গ্রেবিয়াসিস।
| Edited By: | Updated on: May 26, 2023 | 6:16 AM
Share

জেনেভা: ২০১৯ সালে চিনের উহান মার্কেট (Wuhan Market) থেকে যে অতি সংক্রামক রোগ ছড়াতে শুরু করেছিল, তা কয়েক মাসের মধ্যেই প্রায় গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে এবং লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নেবে, তা হয়তো কেউ কল্পনাও করেনি। করোনা (COVID-19) মহামারির ভয়াল রূপ ধারণ করেছিল গোটা বিশ্বে। মারণ রোগ থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানী-গবেষকরা তড়িঘড়ি ভ্য়াকসিন (COVID-19 Vaccine)তৈরি করেন। তিন বছর পর বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, কমেছে মৃত্যুহারও। তবে সকলে যেখানে করোনা থেকে মুক্তি মেলায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন, সেখানেই পরবর্তী সংক্রামক রোগ নিয়ে উদ্বেগে বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও সতর্কবার্তা দিয়ে পরবর্তী মহামারির জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়। কোন কোন রোগ ভবিষ্যতে মহামারির আকার ধারণ করতে পারে, তার একটি সম্ভাব্য তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে হু-র তরফে। সেখানে ইবোলা(Ebola), সার্স(SARS), জ়িকা(Zika)-র পাশাপাশি রয়েছে আরও একটি নাম, যা ঘিরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা-উদ্বেগ।  

বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, করোনার পরবর্তী যে মহামারি আসবে, তার প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর হবে। আগামি কয়েক বছরের মধ্য়ে যে রোগগুলি মারণ রোগ হয়ে উঠতে পারে, তার তালিকায় রয়েছে ইবোলা, সার্স, জ়িকা, লাসা ফিভার, নিপা এবং ডিজিজ এক্স (Disease X)। এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে কী এই ডিজিজ এক্স? এটি কি নতুন কোনও রোগ?

হু-র তথ্য অনুযায়ী, ডিজিজ এক্স শব্দটির অর্থ হল এমন কোনও গুরুতর সংক্রমণ, যা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে। কোন প্যাথোজেনের কারণে এই রোগ সৃষ্টি হবে, তা এখনও অজানা। অর্থাৎ এই প্য়াথোজেন কোনও ভাইরাস যেমন হতে পারে, তেমনই আবার ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসও হতে পারে। এর চিকিৎসাও জানা নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে এই শব্দটি তারা ব্যবহার করছেন। এর এক বছর পরই করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। অনেক বিজ্ঞানীদের মতেই আগামী ডিজিজ এক্স ইবোলা বা করোনার মতো কোনও সংক্রমণ হতে পারে। অনেকের আবার দাবি, মানুষই ভয়ঙ্কর কোনও প্যাথোজেন তৈরি করবে, যা এই সংক্রমণ ছড়াতে পারে।