Video: কী সাংঘাতিক! চোখ মেরে মুচকি হেসে রোবট জিজ্ঞেস করছে ‘আমি যদি সত্যি হই?’

World’s most expressive robot Ameca: দুবাইয়ের 'মিউজিয়াম অব দ্য ফিউচারে'র নবতম সদস্য, অ্যান্ড্রয়েড রোবট আমেকা। তার ভিডিয়ো দেখে ভয় লাগতে পারে। রোবটরা মানব সভ্যতার দখল নিয়ে নেবে না তো?

Video: কী সাংঘাতিক! চোখ মেরে মুচকি হেসে রোবট জিজ্ঞেস করছে 'আমি যদি সত্যি হই?’
চোখ মারছে 'আমেকা'
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2022 | 10:09 AM

দুবাই: সে হাসতে পারে, চোখের পলক ফেলতে পারে এবং ‘সোয়্যাগ’ নিয়ে কাঁধও ঝাঁকাতে পারে। সবথেকে বড় কথা, মানুষের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে চোখ মেরে সে বলে ওঠে, “যদি তুমি হও কল্পনার, আর আমি ঘোর বাস্তব, তাহলে কেমন হবে?” রোবট তৈরি করা যেদিন থেকে শুরু হয়েছে, মানব সভ্যতার সামনে একটি নয়া ভয় তৈরি হয়েছে। যদি রোবটরাই সভ্যতার দখল নিয়ে নেয়? এবার কি সেই ভয় বাস্তব হতে শুরু করল? দুবাইয়ের মিউজিয়াম অফ দ্য ফিউচারের নবতম সদস্য, অ্যান্ড্রয়েড রোবট আমেকা-কে দেখার পর এরকমই আলোচনা শুরু হয়েছে। তাকেই বলা হচ্ছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে অভিব্যক্তিপূর্ণ রোবট’।

রোবটটি হাসতে পারে, মানুষকে নিজেকে পরিচয় দিতে পারে। এই হাইপার-রিয়ালিস্টিক রোবটের বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে তাকে মানুষের সঙ্গে সাবলীলভাবে আলাপচারিতায় মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে। যে ফুটেজগুলি নেটিজেনদের একাংশের মতে, আজ পর্যন্ত রোবটের সবচেয়ে প্রাণবন্ত ভিডিয়ো, একই সঙ্গে সবথেকে ভুতুড়ে ফুটেজও বটে।

ভিডিয়ো ফুটেজগুলিতে দেখা যাচ্ছে, শুধু নিজের নাম-পরিচয় দেওয়াই নয়, আমেকা রসিকতা করতেও বেশ দর। যেমন, দর্শকদের মধ্যে একজন তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দুবাইয়ের জাদুঘরে এসে সে খুশি কি না। উত্তরে সে বলে, “আমি খুশি নই, কারণ আমি কোনও আবেগ অনুভব করি না। কিন্তু আমি নিজেকে খুশি দেখাতে পারি।” এরপরই তার মানব সদৃশ মুখে হাসি দেখা যায়।

যুক্তরাজ্যের ‘ইঞ্জিনিয়ারড আর্টস’ সংস্থা এই রোবটটির নকশা করেছে। আমেকাকে বলা হচ্ছে, “মানব-রোবোটিক্স প্রযুক্তির উন্নতির প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত মানব-সদৃশ রোবট।” কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মেশিন লার্নিং পরীক্ষা করার জন্যই রোবটটির নকশা ডিজাইন করা হয়েছিল। চোখ মারা নাকানো, নাক ঝাড়া-সহ মানুষের মতো প্রায় সকল অভিব্যক্তি প্রকাশে সক্ষম আমেকা।

‘ইঞ্জিনিয়ারড আর্টস’-এর ডিরেক্টর অব অপারেশন্স, মরগান রো বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য ছিল সবচেয়ে অভিব্যক্তিপূর্ণ রোবট তৈরি করা। তাই, আমরা প্রথমে একজন মানুষের মুখে কী কী অভিব্যক্তি হতে পারে তার অ্যানিমেশন তৈরি করেছিলাম। তারপরে আমরা ভেবেছিলাম কীভাবে যান্ত্রিকভাবে এটা তৈরি করা যায়। শুধু মানুষের মতো দেখতে রোবট নয়, আমেকাকে মানুষের মতো করে তোলাটাই ছিল লক্ষ্য। তাই নান্দনিকতা এবং গতিশীলতা – দুই দিকেই নজর দিয়েছিলাম।” রো আরও জানিয়েছেন, এআই নিয়ন্ত্রিত হলেও, আমেকার একজন মানব নিয়ন্ত্রকও রয়েছে। তিনিই তার কথাবার্তা এবং মুখের অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করেন।