Muhammad Ali Jinnah, Tata Group: পাকিস্তানের জিন্নার শ্যালক টাটাদের জামাই! কীভাবে সম্পর্ক তৈরি হল জানুন
Tata And Jinnah: টাটাদের সঙ্গে পাকিস্তানের জাতির জনক মহম্মদ আলি জিন্নার যে সম্পর্ক রয়েছে তা কি জানেন?

টাটাদের সম্পর্কে জানে না এমন কাউকে হয়তো গোটা দেশে খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। ভারতের বর্তমান উন্নয়নের পিছনে টাটাদের যে কী অবদান তা লিখে বা বলে তো বোঝানো যায় না। নুন থেকে চায়ের মতো রান্নাঘরের পণ্য থেকে স্টিল বা গাড়ির মতো জিনিস, সবই তৈরি করে টাটা গ্রুপ। কিন্তু টাটাদের সঙ্গে পাকিস্তানের জাতির জনক মহম্মদ আলি জিন্নার যে সম্পর্ক রয়েছে তা কি জানেন?
১৮৭৬ সালের ২৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বোম্বে প্রেসিডেন্সির করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন জিন্না। জন্মের সময় তাঁর নাম ছিল মাহমেদালি জিন্নাভাই। বর্তমান গুজরাটের কাথিয়াওয়াড় থেকে তাঁর পিতামহ করাচিতে চলে যান। যদিও জিন্না নিজে বলেছিলেন, তাঁর পূর্বপুরুষরা আসলে রাজপুত ছিলেন। যাঁরা পরবর্তীতে কাথিয়াওয়াড়ে যান। তারপর করাচি। এবং সেই পূর্বপুরুষের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের মানুষরা ইসলাম গ্রহণ করেন।
কিন্তু টাটাদের সঙ্গে কী সম্পর্ক জিন্নার? জিন্নার দ্বিতীয় স্ত্রী রতনবাই পেটিট একজন পার্সি ছিলেন। আর এই রতনবাই পেটিটের ভাই স্যর দিনশ ম্যাকেঞ্জি পেটিটের স্ত্রীর নাম ছিল সায়লা টাটা। অর্থাৎ, জিন্নার শ্যালকের স্ত্রী সায়লা ছিলেন টাটা পরিবারের সদস্য। আর এই সায়লার দাদা কে ছিলেন জানেন? সায়লার দাদা ছিলেন জাহাঙ্গির রতনজি দাদাভাই টাটা বা জেআরডি টাটা।
আবার শুধু টাটা নয়। জিন্না ও রতনবাইয়ের মেয়ে ডায়নার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন আর এক পার্সি ব্যবসায়ী নেভিল ওয়াদিয়া। নেভিল ওয়াদিয়ার পুত্র নুসলি ওয়াদিয়া বর্তমানে ভারতীয় কনগ্লোমারেট ওয়াদিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান। দেশভাগের আগেই রতনবাই পেটিট মারা যান। তাঁদের কন্যাও তাঁর বাবা জিন্নার সঙ্গে পাকিস্তান যাননি। ডায়নার পুত্র নুসলি বা নাতি নেস অর্থাৎ, জিন্না পরিবারের পরবর্তী প্রজন্ম চিরকালই ভারতে বসবাস করেন।





