Aadhaar ছাড়ুন… এবার বাচ্চাদের জন্য বানিয়ে নিন ‘Apaar Card’, একটি কার্ডেই অনেক কাজ
Apaar Card: ছোট-ছোট শিশুদের জন্য আরও একটি একই ধরনের কার্ড তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেটি স্কুল শিক্ষা থেকে শুরু করে কলেজে ভর্তি হওয়া এবং চাকরি খোঁজা পর্যন্ত সাহায্য করবে। সরকার এটির নাম দিয়েছে ‘আপার আইডি কার্ড’। এটিই হবে সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র।
নয়া দিল্লি: আধার কার্ড এখন আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। রেশনের দোকানে যাওয়া থেকে শুরু করে সিম কার্ড পাওয়া পর্যন্ত এটি বিশেষ কার্যকর। এবার ছোট-ছোট শিশুদের জন্য আরও একটি একই ধরনের কার্ড তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যেটি স্কুল শিক্ষা থেকে শুরু করে কলেজে ভর্তি হওয়া এবং চাকরি খোঁজা পর্যন্ত সাহায্য করবে। সরকার এটির নাম দিয়েছে ‘আপার আইডি কার্ড’। এখন এটি কীভাবে তৈরি হয়, এর সুবিধা কী, এখানে আপনি সমস্ত তথ্য পাবেন।
ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘আপার আইডি কার্ড’ তৈরি শুরু করেছে। এটিই হবে সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের পরিচয়পত্র। একে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান স্টুডেন্ট কার্ড’ও বলা হয়। সরকার যে নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি এনেছে, সেই অনুযায়ী ‘আপার কার্ড’ তৈরি করা শুরু করেছে।
‘আপার কার্ড’ কী?
‘আপার কার্ড’-এর পূর্ণরূপ হল ‘স্বয়ংক্রিয় স্থায়ী অ্যাকাডেমিক অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রি’। এর অর্থ হল, সরকার শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ১২ সংখ্যার আইডি কার্ড তৈরি করবে, যা শৈশব থেকে তাদের পড়াশোনা- শেষ পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। স্কুল পরিবর্তন করলেও তার ‘এপার আইডি’ একই থাকবে। এটি তাদের আধার কার্ড থেকে আলাদা হবে এবং একটি অপরের সঙ্গে লিঙ্ক করা হবে। এতে সকল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়ে যাবে। এর জন্য সরকার ‘অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অব ক্রেডিটস’ চালু করেছে। এটি একটি শিক্ষাগত রেজিস্ট্রির মতো কাজ করে, আপনি এটিকে ‘ডিজিলকার’-এর মতো ‘এডুলকার’ হিসাবেও বিবেচনা করতে পারেন।
‘আপার কার্ড’ কী কাজে লাগবে?
‘আপার কার্ড’ আসলে একজন শিক্ষার্থীর সব ধরনের তথ্য ডিজিটালভাবে সংরক্ষণ করবে। এতে তাদের শিক্ষার যাবতীয় হিসাব থাকবে, যেমন শিশুরা কত শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে, কোন পুরস্কার পেয়েছে, কোন ডিগ্রি পেয়েছে, তারা বৃত্তি পেয়েছে কি না। যদি তা পেয়েছে, তাহলে কত এবং থেকে। কোথায়, কোন ক্লাসে, কত নম্বর পেয়েছে ইত্যাদি সব তথ্য এই কার্ডে ডিজিটালভাবে স্থানান্তর করা হবে।
কীভাবে তৈরি হবে ‘অপার কার্ড’?
‘আপার কার্ড’ তৈরি করার জন্য, ছাত্রের একটি বৈধ আধার কার্ড থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও ‘ডিজিলকার’-এ একটি অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন হবে। শিক্ষার্থীদের স্কুল বা কলেজ থেকে ‘এপার কার্ড’ দেওয়া হবে। শিশুদের অভিভাবকদের সম্মতিতে এর জন্য রেজিস্ট্রেশন করা হবে।
অভিভাবকেরা যে কোনও সময় তাঁদের সম্মতি প্রত্যাহার করতে পারেন। স্কুল এবং কলেজগুলি শিক্ষার্থীদের একটি ফরম্যাট ফর্ম দেবে, যা তারা তাদের অভিভাবকদের পূরণ করতে এবং জমা দিতে পারে। অভিভাবকদের সম্মতি পেলেই স্কুল বা কলেজ শিশুদের ‘আপার কার্ড’ তৈরি করতে পারবে।