Pulses Price Hike: বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র, অবশেষে কমতে পারে ডালের দাম

Pulses Price Hike: জানুয়ারি মাসে আটার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। সেই সময়ও আটার দাম নিয়ন্ত্রণে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র।

Pulses Price Hike: বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র, অবশেষে কমতে পারে ডালের দাম
প্রতীকী ছবিImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 28, 2023 | 7:17 AM

নয়া দিল্লি: ডালের ক্রমবর্ধমান দাম ঠেকাতে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। গমের মতো ‘বাফার স্টক’ থেকে ডাল বিক্রি করবে মোদীর সরকার। বাজারে অড়হর ডালের জোগান বাড়লে, দাম কিছুটা কমবে বলে আশাবাদী সরকার। বর্তামানে অড়হর ডালের দাম আকাশচুম্বী। প্রতি কেজি অরহড় ডাল বিক্রি হচ্ছে গড়ে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। এই অবস্থায় অনলাইন নিলামের মাধ্যমে অড়হর ডাল বিক্রি করবে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার, খাদ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর জন্য জাতীয় কৃষি সমবায় বিপণন ফেডারেশন বা নাফেড (NAFED) এবং জাতীয় সমবায় গ্রাহক ফেডারেশন বা এনসিসিএফ (NCCF)-কে তারা প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছে। বাজারে অড়হর ডালের মজুদ বাড়াতে, এই দুই সংস্থা অনলাইন নিলামের মাধ্যমে মিল মালিকদের কাছে ডাল বিক্রি করবে। বিদেশ থেকে আমদানির ডাল দেশীয় বাজারে না আসা পর্যন্ত এই মিলাম চলবে।

সাধারণত বিশেষ প্রয়োজন এবং ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের জন্যই ‘বাফার স্টক’ রাখে। জানুয়ারি মাসে আটার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। সেই সময়ও আটার দাম নিয়ন্ত্রণে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। ‘বাফার স্টক’ থেকে নিলামের মাধ্যমে বাজারে লক্ষ লক্ষ টন গম বিক্রি করা হয়েছিল। এর ফলে গমের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। গোটা দেশে আটার দাম কেজি প্রতি ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছিল। বর্তমানে দেশে আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। জানুয়ারিতে দাম ছিল প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪২ টাকা। তাই এই পরীক্ষিত উপায়েই ডালের দামও নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে সরকার।

তবে, ডালের দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে এর আগেও পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। ২ জুন, অপরিহার্য পণ্য আইন, ১৯৫৫ কার্যকর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ডাল যাতে অতিরিক্ত পরিমাণে কেউ মজুদ করতে না পারে, সেই কারণেই এই আইন। কতটা পরিমাণ মজুত করা যাবে, তার একটা সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই আইন জারি থাকবে বলে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জানানো হয়।

কেন্দ্র ঠিক করেছে, পাইকারি ব্যবসায়ীরা ২০০ মেট্রিক টনের বেশি ডাল সংরক্ষণ করতে পারবেন না। আর খুচরো বিক্রেতাদের জন্য সীমা বাঁধা হয়েছিল ৫ মেট্রিক টনে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, মিল মালিকরা মিলের ক্ষমতার ২৫ শতাংশের বেশি ডাল মজুদ করতে পারবেন না। কোনও ব্যবসায়ী এই নির্ধারিত সীমার বেশি ডাল মজুদ করলে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার, বাজারে ডালের জোগান বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। বাজারে এই জোড়া পদক্ষেপের প্রভাব কতটা পড়ে, এখন সেটাই দেখার।