2000 Rs Exchange: পকেটে এখনও ২০০০ টাকার নোট পড়ে? ফেলে দেবেন না, বদলে নিন এভাবে…
Reserve Bank of India: সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ ছিল ডেডলাইন। এই তারিখের মধ্যেই ২০০০ টাকার নোট জমা দিতে বলা হয়েছিল। এবার আলমারি পরিষ্কার করতে গিয়ে বা মানিব্যাগের এক কোণ থেকে ২০০০ টাকার নোট খুঁজে পান, তবে কী করবেন? ডেডলাইন তো পেরিয়ে গিয়েছে, তবে কি নোট পরিবর্তন হবে না আর? ২০০০ টাকা জলে যাবে?
নয়া দিল্লি: সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখ ছিল ডেডলাইন। এই তারিখের মধ্যেই ২০০০ টাকার নোট (2000 rs Note) জমা দিতে বলা হয়েছিল। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার (Reserve Bank of India) তরফে ২০২৩ সালের মে মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল, বাজার থেকে তুলে নেওয়া হচ্ছে ২০০০ টাকার নোট। নতুন করে আর ২০০০ টাকার নোট ছাপানো হবে না। বাজারে যে ২০০০ টাকার নোট রয়েছে, তাও তুলে নেওয়া হবে। এবার আলমারি পরিষ্কার করতে গিয়ে বা মানিব্যাগের এক কোণ থেকে ২০০০ টাকার নোট খুঁজে পান, তবে কী করবেন? ডেডলাইন তো পেরিয়ে গিয়েছে, তবে কি নোট পরিবর্তন হবে না আর? ২০০০ টাকা জলে যাবে?
চিন্তার কারণ নেই। ২০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে গেলেও, আপনার জমা পুঁজি নষ্ট হবে না। আপনি চাইলেই ২০০০ টাকার নোট বদল করে আনতে পারেন। এই সুযোগ দিচ্ছে পোস্ট অফিস। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, অনেকেই আরবিআই-র অফিসে লাইন দিচ্ছেন বাতিল হয়ে যাওয়া ২০০০ টাকার নোট পরিবর্তন করার জন্য। তারা নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট বদল করে আনতে পারেন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, এর মধ্যে সবথেকে বেশি যে প্রশ্ন করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ২০০০ টাকার নোট কীভাবে বদল করা যাবে? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে এই প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়েছে, কারোর কাছে যদি এখনও ২০০০ টাকার নোট পড়ে থাকে, তবে তারা নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে গিয়ে তা জমা দিতে পারেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৯টি ইস্যু অফিস রয়েছে, সেখান থেকে এই নোট বদল করা যাবে।
কীভাবে পোস্ট অফিস থেকে ২০০০ টাকার নোট বদল করবেন?
পোস্ট অফিসে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট বদল করার জন্য পোস্ট অফিসে গিয়ে প্রথমেই একটি আবেদন পত্র পূরণ করতে হবে। এই আবেদন ফর্ম অনলাইনেও পাওয়া যায়। ফর্ম পূরণের পর ২০০০ টাকার নোট সহ তা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার ইস্যু অফিসে পাঠাতে হবে।
রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে সম্প্রতিই জানানো হয়েছিল, ২০০০ টাকার যত নোট ছাপানো হয়েছিল, তার ৯৭.৩৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে। ৯৩৩০ কোটি টাকা এখনও ফেরত আসেনি।