Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ট্রাম্পের শুল্কে ছাড়, চিন স্বস্তি পেলেও ভারতের পৌষমাস! চড়চড়িয়ে বাড়তে পারে এই সংস্থার শেয়ারের দাম!

Donald Trump: বর্তমানে মোট আইফোনের প্রায় ১৫ শতাংশ তৈরি হয় ভারতে। আর এবার মনে করা হচ্ছে সেই পরিমাণটা দ্বিগুণ হতে পারে।

ট্রাম্পের শুল্কে ছাড়, চিন স্বস্তি পেলেও ভারতের পৌষমাস! চড়চড়িয়ে বাড়তে পারে এই সংস্থার শেয়ারের দাম!
Follow Us:
| Updated on: Apr 14, 2025 | 5:44 PM

ডোনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার ঘোষণা করেছেন চিন থেকে আমেরিকায় আমদানিকৃত পণ্যের উপর কোনও প্রকার শুল্ক বসাবে না তারা। ফলে চিন থেকে আমেরিকায় যাওয়া পণ্যের উপর আর বাড়তি কর বসবে না। কিন্তু হোয়াইট হাউস বলেছে এই ধরণের পণ্যে সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহৃত হয়। ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই পণ্যে উপর সেই কর বসবে যা সেমিকন্ডাক্টর দ্বারা তৈরি অন্যান্য পণ্যের উপর বসতে চলেছে। ফলত, ইলেকট্রনিক্স পণ্যে উপর এই কর ছাড় আগামী কয়েকটা দিনের জন্যই।

যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর ইলেকট্রনিক পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো সতর্ক হয়ে গিয়েছে। ফলে, আগামিদিনে ভারত থেকে আমেরিকায় এই ধরণের পণ্য রফতানি যে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়তে পারে। বর্তমানে মোট আইফোনের প্রায় ১৫ শতাংশ তৈরি হয় ভারতে। আর এবার মনে করা হচ্ছে সেই পরিমাণটা দ্বিগুণ হতে পারে।

ডিক্সন টেকনোলজিস ভারতের অন্যতম বৃহত্তম ইলেকট্রনিক্স কন্ট্র্যাক্ট ম্যানুফ্যাকচারার। আর এই সংস্থা স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত মোটোরোলা মোবাইল আমেরিকায় রফতানি করে। তারা তাদের স্মার্টফোন তৈরির কারখানার ক্ষমতা আরও বাড়াচ্ছে। আর এর কারণ, আগামীতে তারা আশা করছে আরও অনেক বেশি স্মার্টফোন তারা আমেরিকায় রফতানি করবে।

ডিক্সন টেকনোলজিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অতুল লাল বলছেন, আপাতত স্মার্টফোনের জন্য ভারত ও চিনের রফতানির ক্ষেত্রে কোনও আলাদা কর নেই। কিন্তু আগামীতে চিন থেকে রফতানি হওয়া সেমিকন্ডাক্টর যুক্ত পণ্যের উপর ২০ শতাংশ কর বসবে। আর এই বাজারে ২০ শতাংশও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমরা সেই ২০ শতাংশের সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছি।

উল্লেখ্য, ভারতে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বেশিরভাগটাই আমেরিকায় রফতানি হয়। আর ভারত ইলেকট্রনিক্স পণ্য রফতানি শুরু করার পর আমেরিকায় চিনা রফতানি কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। ২০১৫-তে চিন থেকে ৪৬ শতাংশ ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি করত আমেরিকা। সেই পরিমাণ ২০২৪-এ নেমে এসেছে মাত্র ২৪ শতাংশে।

কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।