Pre Budget Consultations: আগামী কাল থেকে শুরু হবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর প্রাক বাজেট বৈঠক
Pre Budget Consultations: মনে করা হচ্ছে ২০২২-২৩ এর জন্য বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে মাথায় রেখে এই বাজেট তৈরি করবেন। এর পাশাপাশি সরকার লাগাতার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে অর্থনীতিকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এই অবস্থায় এই বাজেটে ছাড় অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: ২০২১ সাল শেষের দিকে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার বাজেটের প্রস্তুতির গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী কাল অর্থাৎ বুধবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন প্রাক বাজেট বৈঠকের ধারাবাহিকতা শুরু করতে চলেছেন। অর্থমন্ত্রকের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নির্মলা বুধবার কৃষি আর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের আধিকারীকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
কৃষি খাতের বাজেট প্রত্যাশা নিয়ে কথা
অর্থমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারীতে প্রভাবিত হওয়া চাহিদা আবারও বাড়াতে আর বৃদ্ধির উপায় নিয়ে শিল্প সমিতি, কৃষক সংগঠন আর অর্থনীতিবিদন সহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। অর্থমন্ত্রকের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে, ‘অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাধারণ বাজেট ২০২২-২৩-কে মাথায় রেখে আগামী কাল ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ -এ নতুন দিল্লিতে বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার গোষ্ঠীর সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা করবেন। এই বৈঠক ডিজিটাল উপায়ে হবে।’ সম্ভবনা রয়েছে আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি সাধারণ বাজেট পেশ হওয়ার। অন্য একটি টুইটে অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘অর্থমন্ত্রী, কৃষি আর কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আগামী কাল দুপরে নিজের প্রথম প্রাক বাজেট বৈঠক করবেন।’ আগামী বছরের বাজেট চাহিদা বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি আর অর্থনীতির বৃদ্ধি দরকে আট শতাংশ বৃদ্ধির রাস্তায় নিয়ে যাওয়ার উপায়ের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার আশা রয়েছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থ বছরে অর্থিক বৃদ্ধির দর ১৯ শতাংশের বেশি হওয়ার আশা রয়েছে। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নিজের সাম্প্রতিক দ্বিমাসিক আর্থিক পর্যালোচনায় ২০২১-২২-এ সমস্ত ঘরোয়া পণ্যের (GDP) বৃদ্ধির হার ৯.৫ শতাংশ হওয়ার সম্ভবনা প্রকাশ করেছে। সরকারের অনুমান রাজকোষের লোকসান সমস্ত ঘরোয়া পণ্যের উপর ৬.৮ শতাংশ থাকতে পারে।
অর্থনীতির উন্নতির উপর ফোকাস থাকতে পারে বাজেটে
মনে করা হচ্ছে ২০২২-২৩ এর জন্য বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টকে মাথায় রেখে এই বাজেট তৈরি করবেন। এর পাশাপাশি সরকার লাগাতার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে অর্থনীতিকে আবারও আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। এই অবস্থায় এই বাজেটে ছাড় অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে সরকারের জন্য সন্তোষজনক বিষয় হল জিএসটি কালেকশন বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে ২২টি গুরুত্বপূর্ণ সূচকের মধ্যে ১৯টি করোনা স্তরের আগের স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। জিডিপির সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অর্থনীতি ৮.৪ শতাংশ দরে উন্নতি হচ্ছে। এই অবস্থায় সরকার বাজেটে এমন কোনও পদক্ষেপ নেবে না যা এই গতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: Kerosene Oil: সরকারের জন্য বড় মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কেরোসিন তেল!