Paytm: ঘুরে দাঁড়িয়ে ফের পেটিএম করছে ভারত, বলছে সাফল্যের মার্কশিটই
Paytm: তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফল ঘোষণা হয়েছে গত ২০ জানুয়ারি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সংস্থাটি ৯ মিলিয়ন রেভিনিউ আয় করেছে যা ব্রোকারেজ রিপোর্টে উল্লিখিত সারা বছরের রাজস্ব সংক্রান্ত অনুমানের থেকে ১৮ শতাংশ বেশি।
নয়া দিল্লি: বিতর্ক আর নিষেধাজ্ঞার পর অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখছে পেটিএম। পেটিএম-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন টার্গেট নির্ধারণ করল বিনিয়োগ সংস্থা গবেষণা সংস্থা ম্যাককোয়ার। আগের অবস্থান থেকে সরে আরও ইতিবাচক দিশা দেখাচ্ছে এই বিনিয়োগ সংস্থা।
‘Strong beat on all fronts’ শীর্ষক রিপোর্টে বলছে, Paytm-এর টার্গেট প্রাইস ৩২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৩০ টাকা করেছে ওই সংস্থা। সম্প্রতি পেটিএম-এর তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে সংস্থার যে সাফল্য দেখা গিয়েছে, তার ভিত্তিতেই ম্যাককোয়ার এই মূল্য নির্ধারণ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Paytm তাদের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ১৮২৮ কোটি টাকার মুনাফা করেছে। অর্থাৎ ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে গত ত্রৈমাসিকের থেকে। জিএমভি, সাবস্ক্রিপশন রেভিনিউ থেকে এই বৃদ্ধি হয়েছে। কর দেওয়ার পর লাভও (PAT) উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে পেটিএম-এর। ২০৮ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ ধারাবাহিকভাবে যে লাভ হচ্ছে, তারই প্রতিফলন এটা।
ম্যাককোয়ার প্রাথমিক মূল্যের পূর্বাভাস সঠিকভাবেই অনুমান করেছিল। তবে, ২০২১-এর পর ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ব জুড়ে ফিনটেক সংস্থাগুলির দাম ৬০-৮০ শতাংশ কমে গিয়েছিল। শুরুতে ম্যাককোয়ার বলেছিল যে ২০২১-২৬ এর মধ্যে সিএজিআর বা বার্ষিক বৃদ্ধির রিপোর্ট ৪ শতাংশের বেশি হবে না।
তবে পূর্বাভাসের তুলনায়, পেটিএম উল্লেখযোগ্যভাবে অতিরিক্ত আয় করেছে এবং ২০২১ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে ৩৩ শতাংশ CAGR প্রদান করেছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে, এই ব্রোকারেজ ফার্মটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যার শিরোনাম ছিল ‘Paytm fighting for survival’। সেখানে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল যে পেটিএম কি তাহলে শেষের পথে? ওই প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছিল যে, ২০২৫ অর্থবছরে পেটিএম-এর রাজস্ব হবে ৪২.২ বিলিয়ন। সেই অনুমান এবার বাড়িয়ে করা হয়েছে ৬৬.৮ বিলিয়ন।
তৃতীয় ত্রৈমাসিকের আর্থিক ফল ঘোষণা হয়েছে গত ২০ জানুয়ারি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সংস্থাটি ৯ মিলিয়ন টাকা মুনাফা করেছে যা ব্রোকারেজ রিপোর্টে উল্লিখিত সারা বছরের রাজস্ব সংক্রান্ত অনুমানের থেকে ১৮ শতাংশ বেশি।
ব্যবসায়িক বৃদ্ধি, AI-এর ব্যবহার, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খরচ কমানোর মাধ্যমে পেটিএম সাফল্য পেয়েছে। কিছু কৌশলী সিদ্ধান্ত নেয় এই সংস্থা। এছাড়া এন্টারটেনমেন্ট ব্যবসা জোমাটোর কাছে ২,০৪৮ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেয় পেটিএম। এছাড়া জাপানের ‘পে পে’ সংস্থাকে ২,৩৭২ কোটি টাকায় কিছু অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেয়।
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে ফার্মটি স্বীকার করেছে যে পেটিএম তাদের অনুমানকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। পেটিএম-এর ক্ষতির অঙ্ক দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ছিল ৪.১ বিলিয়ন, তার থেকে নেমে হয়েছে ২.১ বিলিয়ন। এই বছর পেটিএম ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব বৃদ্ধি করছে। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের উপর বিধিনিষেধ জারি করার পর, খুব দ্রুত ইউপিআই পরিষেবাগুলিকে একাধিক ব্যাঙ্কের নেটওয়ার্কে স্থানান্তরিত করে পেটিএম। এই কৌশলগত পদক্ষেপের জন্য ঝুঁকি কমেছে তাদের।