Mukesh Ambani: সকলে আনন্দ করছে, ছেলের প্রাক-বিবাহে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুকেশ অম্বানি!

Mukesh Ambani cries: কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ধনকুবের শিল্পপতি তথা অনন্তর বাবা মুকেশ অম্বানি। প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান চলাকালীন, অনন্ত এবং রাধিকা, মঞ্চে উঠে অতিথিদের সামনে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে এমন কী বললেন অনন্ত, যার জেরে কেঁদে ফেললেন মুকেশ অম্বানি?

Mukesh Ambani: সকলে আনন্দ করছে, ছেলের প্রাক-বিবাহে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মুকেশ অম্বানি!
ছেলের বিয়েতে কেঁদে ফেললেন মুকেশ অম্বানি Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 03, 2024 | 9:41 AM

আহমেদাবাদ: গুজরাটের জামনগরে বসেছে অনন্ত অম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের প্রাক-বিবাহ উৎসব। ১ মার্চ থেকে জামনগরে বসেছে চাঁদের হাট। বহু বিশিষ্ট অতিথিদের উপস্থিতিতে আনন্দ-উৎসবের এক অনন্য পরিবেশ তৈরি হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন ধনকুবের শিল্পপতি তথা অনন্তর বাবা মুকেশ অম্বানি। প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান চলাকালীন, অনন্ত এবং রাধিকা, মঞ্চে উঠে অতিথিদের সামনে ভাষণ দেন। সেই ভাষণে এমন কী বললেন অনন্ত, যার জেরে কেঁদে ফেললেন মুকেশ অম্বানি?

আসলে, প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানে তাঁর স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমার পরিবার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে যাতে আমার জীবন স্পেশাল হয়ে ওঠে। কিন্তু, আমার জীবন পুরোপুরি গোলাপের বিছানা ছিল না। আমি কাঁটার যন্ত্রণাও অনুভব করেছি। আমি শৈশব থেকে অনেক স্বাস্থ্যগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। কিন্তু, আমার বাবা-মা আমাকে কখনও কষ্ট পেতে দেননি। তাঁরা সবসময় আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমার বাবা-মা সবসময় আমায় বলেছেন, আমি যদি কিছু ভাবতে পারি, তবে আমি সেটা করতেও পারব। আমার কাছে, এটাই আমার বাবা-মায়ের পরিচয়। তাঁদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ।”

এই সময়, ক্যামেরা মুকেশ অম্বানির একদম কাছে চলে এসেছিল। স্ক্রিনে দেখা যায়, ছেলের স্বাস্থ্য সমস্যার কথা শুনে আবেগে জড়-জড় হয়ে পড়েছেন মুকেশ। চোখ দিয়ে জল পড়ছে এশিয়ার সবথেকে ধনী ব্যক্তির। আসলে, সেই সময় তিনি তো আর এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি নন, নেহবাতই একজন বাবা। তবে, একই সঙ্গে ছেলের বক্তৃতা শুনে হাততালি দিতে শুরু করেন বাবা। অনন্ত অম্বানি এই আন্তরিক বক্তৃতা সেখানে উপস্থিত আরও বহু মানুষকে মোহিত করেছে।

অনন্ত, তাঁর প্রকল্প, ভান্তার প্রতি তাঁর মা নীতা অম্বানির সমর্থনের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাবা-মা, ভাইবোন এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্য-সহ প্রাক-বিবাহ উদযাপনে উপস্থিতদের সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি জানান, এই অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষ্যে, তাঁর পরিবারের সদস্যরা গত কয়েক মাস ধরে দিনে তিন ঘণ্টারও কম ঘুমিয়েছে। অনন্ত তাঁর সঙ্গী রাধিকা মার্চেন্টকে নিয়েও মুখ খোলেন। তাঁকে পেয়ে তিনি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করছেন বলে জানিয়েছেন। তাঁর প্রতি গভীর ভালবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। গত সাত বছর ধরে তাঁদের এই সম্পর্ক চলছে।