Indian Exports: ২৩৯ শতাংশ বৃদ্ধি! বিশ্ব বাজারে ভারতের কাছে বলে বলে গোল খাচ্ছে চিন
Indian Business: আন্তর্জাতিক বাজারে খেলনা রফতানিতে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে একার আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে চিন, এবার সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে ভারত। মোদী জমানায় গত এক দশকে ভারতের খেলনা শিল্প এক উল্কাগতির উত্থানের সাক্ষী থেকেছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের খেলনা রফতানি ২৩৯ শতাংশ বেড়েছে। আর আমদানি কমে এসেছে ৫২ শতাংশ। ফলে এখন ভারতকে পুরোপুরি খেলনা রফতানিকারক দেশ হিসেবেই গণ্য করা যায়।
নয়া দিল্লি: মোদী জমানায় ঘুরছে ভারতের ভাগ্যের চাকা। বিকাশের দিক থেকে, স্বনির্ভরতার দিক থেকে এবং তার সঙ্গে আন্তর্জাতিক আঙিনায় আলাদা মাত্রা যোগ করেছে ভারত। আর এবার ভারতর এমন কিছু করে দেখাল, যাতে মাথায় হাত পড়েছে চিনের। আন্তর্জাতিক বাজারে খেলনা রফতানিতে যেখানে দীর্ঘদিন ধরে একার আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে চিন, এবার সেই জায়গা দখল করে নিচ্ছে ভারত। মোদী জমানায় গত এক দশকে ভারতের খেলনা শিল্প এক উল্কাগতির উত্থানের সাক্ষী থেকেছে। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের খেলনা রফতানি ২৩৯ শতাংশ বেড়েছে। আর আমদানি কমে এসেছে ৫২ শতাংশ। ফলে এখন ভারতকে পুরোপুরি খেলনা রফতানিকারক দেশ হিসেবেই গণ্য করা যায়।
ভারতে খেলনা বিক্রির জন্য অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু বাধ্যতামূলক মাপকাঠি স্থির করেছে ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস। এর পাশাপাশি কাস্টমসের শুল্ক ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এসব যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলিই ভারতের খেলনা শিল্পের বিকাশে অনুঘটকের মতো কাজ করেছে। খেলনা শিল্পের সঙ্গে যাঁরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তারও বলছেন, আজকাল বড় বড় খেলনা প্রস্তুতকারক সংস্থা যেমন ড্রিম প্লাস্ট, মাইক্রোপ্লাস্ট, ইনকাস – এরা ধীরে ধীরে চিনকে ছেড়ে ভারতের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস রেগুলেশন স্থির করার আগে ভারত খেলনার বাজারের জন্য ৮০ শতাংশ নির্ভরশীল ছিল চিনের উপর। যে নির্ভরশীলতা এখন অনেক কমে গিয়েছে। চেন্নাইয়ের সংস্থা ফানস্কুলের সিইও আর যশবন্তের মতে, ‘যে খেলনা আমদানি করা হত, এখন সেই বাজারটাকে ধরে নিয়েছে ভারতের নিজস্ব পণ্য। আজ থেকে দশ বছর আগে, কোনও সংস্থা ভারতের দিকে তাকাচ্ছে, সেটা ভাবাই যেত না। কিন্তু এখন অনেক সংস্থা তাদের বেস তৈরি করেছে এ দেশে।’