BJP Bangla Bandh: বিধায়ককেই চ্যাঙদোলা করে নিয়ে গেল পুলিশ! বাংলা বনধেও অশান্তি তপনে
BJP Bangla Bandh: বনধ সফল করতে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মীরা পথে নেমেছেন। সেখানে দেখা যায়, আরও এক নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যের এক বিধায়কই নিগ্রহের অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বালুরঘাট: রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ গড়েছিলেন। কর্মী সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়ে বনধ সফল করতে বাস আটকাচ্ছিলেন। বিধায়ককেই কার্যত চ্যাঙদোলা করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ। তপনের বিধায়ক বুদ্ধরাই টুডুকে পুলিশ রাস্তা থেকে হাত ধরে টেনে চ্যাঙদোলা করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সকান্ত মজুমদার। পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আজ, সোমবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ বিজেপির। বনধ সফল করতে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মীরা পথে নেমেছেন। সেখানে দেখা যায়, আরও এক নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যের এক বিধায়কই নিগ্রহের অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
কী ঘটেছিল?
বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ সফল করতে সোমবার সকাল থেকেই বালুরঘাট-তপনে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা সরকারি বাস আটকানোর চেষ্টা করেছেন। বালুরঘাট সকাল ৬ টা থেকে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা সরকারি বাস স্ট্যান্ডের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সরকারি বাস স্ট্যান্ড থেকে বেরনোর সময়েই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় বসে-শুয়ে তা আটকানোর চেষ্টা করেন। ছিলেন বিধায়কও। পুলিশ এলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। অনান্য কর্মীদের পাশাপাশি বিধায়ককেও পুলিশ চ্যাঙদোলা করে নিয়ে যায়।
বনধ সফলের জন্য বাস আটকাতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয় বালুরঘাট সরকারি বাস স্ট্যান্ড চত্বরে। প্রতিবাদে বালুরঘাটে রাস্তায় বিজেপি কর্মীরা পিকেটিং শুরু করেন। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পুলিশ তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা আমাদের শেষ শক্তি দিয়ে লড়াই করব। রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলব। বিধায়করা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।” বিধায়ককে চ্যাঙদোলা করে নিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিরোধী দলের বিধায়ক বলে, মিনিমাম সম্মানটুকু যদি না থাকে গণতন্ত্রে, তাহলে রাজ্যের অবস্থা কী ভাবুন। যদি শাসকদলের বিধায়ক হতেন, তাহলে দেখতেন পুলিশ রাস্তায় শুয়ে পড়ে সম্মান জানাচ্ছেন। এটা শুধু বিধায়ককে অসম্মান নয়, গোটা আদিবাসী সমাজের প্রতি অসম্মান।”