Municipal Elections : মেয়র হওয়ার দৌড়ে কারা? কে কতটা এগিয়ে! দেখে নিন একনজরে…

Trinamool Congress: বিদায়ি মেয়রদের পুনরায় বেছে নেওয়ার বিষয়ে যেমন জল্পনা রয়েছে, ঠিক তেমনইভাবে তিন পুরনিগমের ক্ষেত্রেই উঠে আসছে বেশ কিছু নাম।

Municipal Elections : মেয়র হওয়ার দৌড়ে কারা? কে কতটা এগিয়ে! দেখে নিন একনজরে...
(প্রতীকী ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2022 | 8:17 PM

কলকাতা: একমাত্র শিলিগুড়ির মেয়র কে হবেন, তা ঠিক হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) শিলিগুড়ির অভূতপূর্ব জয়ের পর গৌতম দেবকে মেয়রের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে (Municipal Elctions 2022) বিধাননগর, চন্দননগর এবং আসানসোলেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। বিরোধীদের কার্যত মাথা গোঁজার জায়গা মেলেনি। কিন্তু এই তিন পুরনিগমের নতুন বোর্ডের মেয়র কে হবেন? তা এখনও স্থির হয়নি। যেহেতু এই তিন পুরনিগম থেকেই নেত্রীর মুখের হাসি আরও চওড়া হয়েছে, তাই খুব স্বাভাবিক এবং সঙ্গত কারণেই এই তিন পুরনিগম থেকে সম্ভব্য মেয়র হিসেবে বিদায়ি বোর্ডের বিদায়ি মেয়রদের নাম নিশ্চিতভাবে উঠে আসছে। যেমন, বিধাননগর পুরনিগমের ক্ষেত্রে কৃষ্ণা চক্রবর্তী, আসানসোলের ক্ষেত্রে অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় এবং চন্দননগরের ক্ষেত্রে রাম চক্রবর্তী। ফলে এই বিদায়ি মেয়রদের পুনরায় বেছে নেওয়ার বিষয়ে যেমন জল্পনা রয়েছে, ঠিক তেমনইভাবে তিন পুরনিগমের ক্ষেত্রেই উঠে আসছে বেশ কিছু নাম।

বিধাননগর পুরনিগমের ক্ষেত্রে উঠে আসছে সব্যসাচী দত্তের নাম। সব্যসাচী দত্ত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। তৃণমূলের ঘর ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে কিছুদিন সংসার করে ফের তৃণমূলে। কিন্তু নেতার ক্যারিশ্মাতে এতটুকুও মরচে ধরেনি। দল বদলেও জনপ্রিয়তা এখনও একইরকম সব্যসাচী দত্তর। ঘর ওয়াপসির পর ফের পুরভোটে দাঁড়িয়েছেন, ফের জিতেছেন। জিতেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন সস্ত্রীক সব্যসাচী। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। সব মিলিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সব্যসাচীর যে শরীরি ভাষা, তাতে অনেকেই মনে করছেন তিনিও আগামী মেয়র হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন। তবে একদিকে সব্যসাচী দত্ত এবং অন্যদিকে কৃষ্ণ চক্রবর্তী ও সুজিত বসু – এই দ্বৈরথ যদি তুঙ্গে ওঠে, সে ক্ষেত্রে কীভাবে দলীয় ভারসাম্য বজায় রাখা যাবে সেই নিয়েও জোর চর্চা চলছে।

তৃণমূলের অন্দরে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে একটি ক্ষীণ সম্ভাবনা রয়েছে, রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী, যিনি বিধাননগর সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, এলাকাটিকে জানেন এবং চেনেন – ওই মন্ত্রীকে মেয়র পদে মনোনীত করা হবে। পরবর্তী সময়ে কাউন্সিলর নির্বাচনে তাঁকে জিতিয়ে আনা হবে। উল্লেখ্য, এমন ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। কলকাতা পুরনিগমের ক্ষেত্রে অতীতে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র পদে মনোনীত করা হয়েছিল এবং পরবর্তী সময়ে তাঁকে ঘরের ওয়ার্ড থেকে জিতিয়ে আনা হয়েছিল। বিধানসভা বা লোকসভার ক্ষেত্রে এমন উদাহরণ আকছার দেখা যায়। মুখ্যমন্ত্রীও অতীতে সাংসদ ছিলেন। সেখান থেকে ইস্তফা দিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন এবং পরবর্তী সময়ে জিতে এসেছেন। কলকাতা পুর আইন সংশোধনের মধ্যে দিয়ে ফিরহাদ হাকিম মেয়র হয়েছিলেন এবং পরে জিতে এসেছিলেন। সেই নীতি যদি অনুসরণ করে বিধাননগর পুরনিগমের পুর আইন, তাহলে কোনও একজন প্রাক্তন মন্ত্রী, যিনি ওই এলাকা চেনেন , তাঁকে সব্যসাচী – কৃষ্ণা দ্বৈরথের মাঝে বসানো হতে পারে। সেই সঙ্গে বিধাননগরের ডেপুটি মেয়র হিসেবে দেবরাজ চক্রবর্তীর নাম জোরালো ভাবে শোনা যাচ্ছে।

এর পাশাপাশি আসানসোলের ক্ষেত্রেও মূলত তিনটি নাম উঠে আসছে। তপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পেশায় আইনজীবী। আসানসোলের ঘরোয়া রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নাম মলয় ঘটকের সঙ্গেও তাঁর যেমন ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, তেমনই ঘটক বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গেও যথেষ্ট ভাল সম্পর্ক রয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি একজন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম মেয়র হিসেবে মনোনীত করা হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি বড় অংশ। এ ক্ষেত্রে রাজনীতির গণ্ডি পেরিয়ে বৃহত্তর সামাজিক ক্ষেত্রেও তাঁর একটি অবদান রয়েছে। একইসঙ্গে মলয় ঘটকের ছোট ভাই অভিজিৎ ঘটক এবং বিদায়ি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নামও সম্ভব্য মেয়র হিসেবে উঠে আসছে। এছাড়া উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এবং অশোক রুদ্রের মতো নেতাদের নাম নিয়েও বেশ কিছু জল্পনা ঘোরাফেরা করছে, তবে সেগুলির পক্ষে তেমন জোরালো চর্চা হচ্ছে না।

চন্দননগরের ক্ষেত্রেও বিদায়ি বোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী অবশ্যই অন্যতম উল্লেখ্যযোগ্য নাম। এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির রাজনীতিক হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে শীর্ষ নেতৃত্বেরও সম্পর্ক বেশ ভাল, যা তাঁৎ মনোনীত হওয়ার সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করে। এর পাশাপাশি চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক অশোক সাউয়ের ছেলে শুভজিৎ সাউ, পীযূষ বিশ্বাস, পার্থ সারথি দত্ত এবং ইন্দ্রনীল সেনের ঘনিষ্ঠ মুন্না আগরওয়ালকে নিয়েও একটি জল্পনা চলছে। এর পাশাপাশি শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়রের ক্ষেত্রে উঠে আসছে রঞ্জন শীল শর্মার নাম। সামগ্রিকভাবে জল্পনা যাই থাক না কেন, আগামী শুক্রবার জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক রয়েছে, সেই জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেই মেয়রদের নাম চূড়ান্ত হবে এবং তাতে সীলমোহর দেবেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন : Sandhya Mukhopadhyay Death: সন্ধ্যাতেই থামল সুরের খেলা! চলে গেলেন ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়