Punjab Assembly Election 2022 : “মদের দোকান থেকে সংগৃহীত কর উন্নয়ন খাতে ব্যবহৃত হবে…”স্মৃতিকে জবাব মানের
Bhagwant Mann : পঞ্জাব নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ভগবন্ত মান বলেছেন, দিল্লিতে বিদেশি মদের দোকানের করের টাকা পরিকাঠামোগত উন্নয়নে খরচ করা হবে।
চণ্ডীগড় : ভোটে সরগরম দেশের পাঁচ রাজ্য। এই মাসেই নির্বাচন উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব, গোয়া, মণিপুর এবং উত্তরাখণ্ডে। নির্বাচনের আগে প্রস্তুতি তুঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির। অল্প বিস্তর সব রাজ্যেই শাসক শিবির ও বিরোধী শিবিরের আক্রমণ জারি রয়েছে। এই আবহে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাক বিতন্ডায় জড়ালো ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP) এবং আম আদমি পার্টি (AAP)। সেই নিয়ে কেজরীবাল সরকারকে আবগারি নীতি নিয়ে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। স্মৃতি ইরানি দিল্লির সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন যে দিল্লির সরকার লাভের জন্য দিল্লিতে বিদেশি মদের দোকান খুলছে। এর প্রত্যুত্তরে জবাব দিয়েছেন পঞ্জাব নির্বাচনে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান। সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুসারে, তিনি পাল্টা জানিয়েছেন, বিদেশি মদের দোকান থেকে আসা কর দিয়ে পরিকাঠামোর উন্নয়ন হবে।
পঞ্জাবে একটি নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে স্মৃতি ইরানির মন্তব্যের জবাব দেন পঞ্জাব নির্বাচনে আপের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান। এএনআই সূত্রে খবর, তিনি বলেছেন, “দিল্লিতে বিজেপির বড় জোর ৪-৫ টি আসন রয়েছে। বিদেশি মদের দোকান থেকে সংগৃহীত কর দিয়ে পরিকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে। স্কুল বানানো হবে এবং যথাযথ বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে। ”তিনি আরও বলেছেন, “আমাদের দলের দিকে প্রশ্ন করা ছাড়া বিজেপির আর কোনও বিকল্প পথও নেই।”
গতকালই স্মৃতি ইরানি দিল্লি সরকারের আপডেট করা নতুন সুরা নীতি নিয়ে দিল্লি সরকারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন যে শহরের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল শুধুমাত্র লাভের জন্য মদের দোকান খুলেছেন। শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “অরবিন্দ কেজরীবাল মদের দোকান খুলেছেন এবং প্রমাণ করেছেন যে তিনি লাভের জন্য যে কোনও সীমা পর্যন্ত যেতে পারেন।” তিনি আরও বলেছেন, “আমি এখানে সমস্ত ভাইদের জিজ্ঞাসা করতে চাই, কল্পনা করুন যে একজন বোন প্রতিদিন সম্মান এবং সুরক্ষার আশায় একটি মদের দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। কেজরীবাল এই সমস্যাটি নিয়ে মাথা ঘামায়নি এবং সেই মেয়েটির কোনও বিপদের জন্য তিনি দায়ী।”
স্মৃতি ইরানি দিল্লিতে কেজরীবালের সরকার এবং কেন্দ্রের সরকারের মধ্যে একটি তুলনা টেনে বলেছেন, “বিজেপি একটি মন্দির নির্মাণ করছে এবং কেজরীবাল সরকার তার কাছে একটি মদের দোকান খুলছে। আপনি তিলক নগরে দুটি গুরুদ্বারের মাঝখানে একটি মদের দোকান পাবেন। ধর্মের একটা মর্যাদা রয়েছে যা কেজরীবাল সরকার লঙ্ঘন করেছে… এবং এরপর তিনি ‘নেশা-মুক্ত’পঞ্জাবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।” উল্লেখ্য, কেজরীবাল সরকার দিল্লিতে তার নতুন আবগারি নীতির অধীনে খোলা টেন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে ৮৪৯ টি মদ বিক্রির দোকানের লাইসেন্স দিয়েছে। এখনও অবধি শহরের অনেক জায়গায় ৫৫০ টিরও বেশি মদের দোকান খোলা হয়েছে এবং বাকিগুলি খোলা হবে।