Navjot Singh Sidhu on Joining Congress: ‘কমপক্ষে ৬০বার কথা হয়েছিল পিকের সঙ্গে’, কার কথায় বিজেপি ছেড়েছিলেন সিধু?
Punjab Assembly Election 2022: সিধু জানান, আপের তরফেও তাঁকে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি যখন অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁকে দলের তরফে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব বা বিধানসভায় জায়গা দেওয়ার কথা বলা হয়নি।
নয়া দিল্লি: ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu)। পাঁচ বছর পেরিয়ে ফের সামনেই বিধানসভা নির্বাচন (Punjab Assembly Election 2022)। শেষ মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে ছিটকে গেলেও, এবারের নির্বাচনে সিধুর ঘাড়ে রয়েছে গুরভার। কারণ গতবারের মতো এবার আর প্রচারে নেই পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। কংগ্রেসের সঙ্গে ৪০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে তিনি নিজস্ব দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেস তৈরি করেছেন। শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েও সিধুর মুখে শোনা গেল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কাহিনীই। মঙ্গলবার তিনি জানান, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর(Prashant Kishore)-র সঙ্গে ৬০ বার দেখা করার পর তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।
কমপক্ষে ৬০ বার দেখা করেছিলেন পিকে:
২০১৭ সালের নির্বাচনে ১১৭টি আসনের মধ্যে ৭৭টিতেই জয়ী হয় কংগ্রেস। সেই সময় পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রচারের দায়িত্বে ছিল প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোর প্রায় ৬০ বার দেখা করেন নভজ্য়োত সিং সিধুর সঙ্গে, এমনটাই তাঁর দাবি। এনডিটিভিকে দেওয়া একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে সিধু বলেন, “কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য প্রশান্ত কিশোর কমপক্ষে ৬০ বার আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। পিকে বলেছিলেন যে কংগ্রেস ৩০ থেকে ৩৫টির বেশি কেন্দ্রে জিততে পারবে না। যদি আমি আসি, তবে ৭-৮ শতাংশ ভোট বাড়তে পারে। তারপরই ভাই (রাহুল গান্ধী) আমায় ফোন করেন।”
কথা হয়েছিল আম আদমি পার্টির সঙ্গেও:
তবে কংগ্রেসের আগে আম আদমি পার্টিতেই যোগদানের কথা ছিল সিধুর। এ সপ্তাহ কথাও হয়েছিল। সিধু জানান, আপের তরফেও তাঁকে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি যখন অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে দেখা করেন, তখন তাঁকে দলের তরফে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব বা বিধানসভায় জায়গা দেওয়ার কথা বলা হয়নি। কেবল আম আদমি পার্টির হয়ে তিনি প্রচার করবেন, এটাই চেয়েছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল।
রাহুলের কথাতেই যোগদান:
সিধু জানান, রাহুল গান্ধীই হলেন সেই ব্যক্তি, যার কথায় তিনি কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাঁকে ‘ভাই’ বলেও সম্মোধন করেন সিদু। যতদিন তাঁর শ্বাস চলছে, ততদিন তিনি গান্ধী পরিবারের বিশ্বস্ত থাকবেন বলেও দাবি করেন পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
অমরিন্দরকে আক্রমণ:
গত বছর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফা দেওয়ার এক সপ্তাহ আগেই কংগ্রেসের নির্বাচনী পরামর্শদাতার দায়িত্ব ছেড়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। বর্তমানে অমরিন্দর সিং নিজস্ব দল পঞ্জাব লোক কংগ্রেস শুরু করেছেন। বিজেপির সঙ্গে আসন সমঝোতা করে তিনি এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও অংশ নেবেন।
কংগ্রেসে সিধুর অন্য়তম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অমরিন্দর সিংই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেই মঙ্গলবার সিধু বলেন, “অমরিন্দর সিং ভীষণভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। তাঁর পাশে কেউ এক মুহূর্তের জন্যও দাড়াক, তা চাননি তিনি। আমি যখন কংগ্রেসে এসেছিলাম, তখনও উনি বিরোধিতা করেছিলেন।”
মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার প্রশ্ন ‘অপ্রাসঙ্গিক’:
নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই পঞ্জাবে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন, তা ঘোষণা করার জন্য দলের উপর চাপ সৃষ্টি করছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। কিন্তু জনমতে কংগ্রেসের তরফে তাঁকে নয়, বরং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিকেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এই প্রসঙ্গে সিধুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “কে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হচ্ছেন, সেই প্রশ্নটাই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে যদি কংগ্রেস আসন্ন নির্বাচনে ৬০টি আসনে জয়ী না হতে পারে। যদি আমাদের কাছে ৬০ জন বিধায়ক থাকে, তবে আমরা মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেব। যদি ৬০টি আসন না পাই, তবে গোটা চিত্রটাই বদলে যাবে। সম্পূর্ণ বিষয়টাই এখন ঈশ্বরের হাতে রয়েছে।”