AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হারিনি, টাকার বিনিময়ে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছে: রাজ্য কমিটিতে রিপোর্ট বিজেপি প্রার্থীর

রবিবার ভোট গণনায় হাড্ডাহাড্ডি লড়ে মাত্র ৯৩১ ভোটে পরাজিত হন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate)। আর তার পরই দলের একাংশের দিকেই আঙুল তুললেন সৌজিত সিং।

হারিনি, টাকার বিনিময়ে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছে: রাজ্য কমিটিতে রিপোর্ট বিজেপি প্রার্থীর
নিজস্ব চিত্র
| Updated on: May 03, 2021 | 7:29 PM
Share

জলপাইগুড়ি: তীরে এসেও তরী ডুবেছে। মাত্র ৯৩১ ভোটের ব্যবধানে জলপাইগুড়ি সদর আসনে তৃণমূলের প্রদীপকুমার বর্মার কাছে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিং। আর এর মূলে দলের অন্তর্ঘাতকেই দায়ী করলেন বিজেপি প্রার্থী। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ওই আসন তুলে দেওয়া হয়েছে। আর ঘটনায় জেলা বিজেপি নেতৃত্বকে তিনি পাশে পাননি বলে দাবি সৌজিতের।

সোমবার দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে সৌজিত জানান, এ নিয়ে রাজ্য কমিটির কাছে রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন তিনি। তাঁর দাবি, টাকার বিনিময়ে যে তাঁকে দলেরই একাংশ হারিয়ে দিয়েছে, তার প্রমাণ আছে।

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা আসনে প্রায় ৪১ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই একুশের বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Election 2021) এই আসন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিল বিজেপি। কিন্তু রবিবার ভোটের ফলে দেখা যায়  হাড্ডাহাড্ডি লড়েও মাত্র ৯৩১ ভোটে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। আর তার পরই দলের একাংশের দিকেই আঙুল তুললেন তিনি।

এদিকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা হতেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। প্রার্থী বদলের দাবিতে জেলা কার্যালয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও এর পর বিক্ষোভ প্রশমনে আসরে নামে আরএসএস। তারা দীপেনের সঙ্গে বৈঠক করে। পরে সব সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে সাংবাদিক সম্মেলন করে দাবিও করেন দীপেন প্রামাণিক।

কিন্তু গোটা ভোট প্রক্রিয়াতে কার্যত জেলা নেতৃত্বের অনুপস্থিতিতে হাতে গোনা কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে প্রচার করতে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী সৌজিত সিংকে।

এদিন সৌজিত সিংয়ের তোপ, তিনি মূলত জেলা নেতৃত্বের একাংশের অন্তর্ঘাতের শিকার হয়েছেন। যার ফল হিসেবে মাত্র ৯৪১ ভোটে হার। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি শহরের মানুষ এবারেও বিজেপিকে ঢেলে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু হার হয়েছে গ্রামে। কিন্তু ব্যাপার হল, এই গ্রামীণ এলাকাগুলিই বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। তিনি বলেন, অনেকেই দাবি করেন, তাঁরাই নাকি দলের পুরনো কর্মী। কিন্তু তাঁরাই যদি টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্তর্ঘাত করেন তবে আর করার কিছু থাকে না।

বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামীও অন্তর্ঘাতের বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “জলপাইগুড়ি সদর বিধানসভা আসনে একটি গোঁজ প্রার্থী রয়ে গিয়েছিল। তাঁকে কারা দাঁড় করাল আর কোন অঞ্চলে কি ফল হল, তার বিস্তারিত রিপোর্ট আমি দ্রুত রাজ্য কমিটিতে পাঠাব। এরপর রাজ্য কমিটি যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে।”

আরও পড়ুন: ফল বের হতেই বিজেপি নেতার বাড়ি ‘ভাঙচুর’, চাঞ্চল্য খড়দায়

যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই দীপেন প্রামানিকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে এই বিষয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।