বয়ালে মেজাজ হারিয়ে সাংবাদিককে মারতে গেলেন মমতা
ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে বয়ালে বুথ পরিদর্শন করতে গিয়ে লাইমলাইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দেড় ঘণ্টা সেখানেই ‘বন্দি’ তৃণমূল নেত্রী।
নন্দীগ্রাম: ফোকাস। ডিপ ফোকাস। বাকিটা ব্লার। দ্বিতীয় দফার বঙ্গযুদ্ধ আক্ষরিক অর্থেই যেন তাই। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩০ আসনের ভোটে ফোকাসে কেবল নন্দীগ্রাম। আর ডিপ ফোকাসে বয়াল। বাকি ছবিতে খানিকটা চণ্ডীপুর, বাঁকুড়া থাকলেও তা ছিল ‘কানার মধ্যে ঝাপসা’। বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোট কেনার অভিযোগ, আর চণ্ডীপুরে অভিনেতা প্রার্থী সোহম চক্রবর্তীকে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, ২৪ ঘণ্টার সংবাদমাধ্যমে এই দুই ঘটনার ইতিউতি উঁকি ছাড়া স্ক্রিনের সিংহভাগই ছিল নন্দীগ্রাম (Nandigram)।
সকাল সকাল ভোট দিয়ে আগেই শিরোনামে চলে এসেছিলেন পদ্মপ্রার্থী। তারপর একের পর বুথ পরিদর্শনে দুপুর পর্যন্ত মহাসংগ্রামে একাধিপত্য ছিল শুভেন্দুরই (Suvendu Adhikari)।
বেলা গড়াতেই ‘খেলায়’ টুইস্ট। ভাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে বয়ালে (Boyal) বুথ পরিদর্শন করতে গিয়ে লাইমলাইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দেড় ঘণ্টা সেখানেই ‘বন্দি’ তৃণমূল নেত্রী।
ELECTION UPATE: দ্বিতীয় দফার ভোটে সারাদিন যা ঘটল
এদিকে বয়ালে বুথের বাইরে কার্যত জনতায় জনতায় খণ্ডযুদ্ধ। একাংশের অভিযোগ, ‘মুসলমানদের এনে ছাপ্পা ভোট করাচ্ছেন মমতা।’ পাল্টা শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও উস্কানির অভিযোগ করেছেন অনেকে। এরই মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, “শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে না।” রাজ্যপালের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে টুইট করার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বয়ালে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ। ‘বন্দি’ মমতাকে ‘উদ্ধারে’ সাহায্য করে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
‘বন্দিদশা’ থেকে মুক্ত হয়েই মমতার অভিযোগ, “বিজেপি প্ররোচনা করে ভোট লুট করছে। গণতন্ত্রের উৎসবে মানুষ ভোটই যদি দিতে না পারে তাহলে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ বলবে কীভাবে?” কমিশনের উদ্দেশে হাতজোড় করে মমতার অনুরোধ, “নন্দীগ্রামে যা করা হয়েছে, তা যেন আর কোথাও না করা হয়।” যদিও মমতার দাবি, “এসবের পরও নন্দীগ্রামে ৯০ শতাংশ ভোটই তৃণমূলের পক্ষে যাবে।” এই আত্মবিশ্বাসের মধ্যেই মেজাজ হারিয়ে আরও একবার ভাইরাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিকের প্রশ্নে কার্যত মারমুখী হতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। ‘এক দেব…’, এমনই কড়া মন্তব্য শোনা যায় মমতার মুখে। সেই ক্লিপ টুইট করে সংবাদ শিরোনামে নিয়ে এল বিজেপি। কটাক্ষ ছুড়ে দিয়ে গেরুয়া শিবিরের টিপ্পনি, “হতাশা থেকেই কি এই রাগ?”
হতাশা থেকেই কি এই রাগ? pic.twitter.com/AC3PhJJ8KI
— BJP Bengal (@BJP4Bengal) April 1, 2021