West Bengal municipal election 2021: মঙ্গলেই পুরভোটের রায়দান! আভাস মিলতে পারে বকেয়া নির্বাচনের নির্ঘণ্টের

West bengal municipal election 2021: রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে মিশিয়ে রয়েছে ১২৫টি। এর মধ্যে ১১৮টি পুরসভা, ৭টি পুরনিগম।

West Bengal municipal election 2021: মঙ্গলেই পুরভোটের রায়দান! আভাস মিলতে পারে বকেয়া নির্বাচনের নির্ঘণ্টের
এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় নয়া মোড়। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 13, 2021 | 6:42 PM

কলকাতা: পুরভোট মামলার রায়দান মঙ্গলবার। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রায় দেবে।

রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় একসঙ্গে ভোট চেয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। রাজ্যের পুরভোটে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট রাখার দাবিও করা হয়। রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে রয়েছে ১২৫টি। এরমধ্যে ১১৮টি পুরসভা, ৭টি পুরনিগম।

দু’জন পুরভোট নিয়ে মামলা দায়ের করেন। দুই মামলাকারীর একজনের বক্তব্য ছিল পুরভোট একসঙ্গে হোক। যদি না হয়, একসঙ্গে যদি গণনা হয়, সেরকমও করা যেতে পারে। আরেক মামলাকারী মৌসুমী রায়ের বক্তব্য ছিল, যেসব পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে বহুদিন আগেই, সেই পুরসভাগুলিতে কবে ভোট ঘোষণা হবে তা স্পষ্ট করে জানাতে হবে রাজ্যকে।

শুনানির পর সোমবারই রায়দানের কথা ছিল। কিন্তু এদিন বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, মামলার যে শুনানি চলছে তার উপর ভিত্তি করে তারা আরও একটি জবাব দিতে চায়। সেক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি মামলার রায় দেবেন। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে বিজেপির কাছ থেকে কোনওরকমের জবাব তিনি গ্রহণ করতে চাননি।

রাজ্যে পুরসভা ও পুরনিগম মিলিয়ে মিশিয়ে রয়েছে ১২৫টি। এর মধ্যে ১১৮টি পুরসভা, ৭টি পুরনিগম। সর্ববৃহৎ পুরনিগম কলকাতা। ১৪৪টি ওয়ার্ড। রাজ্য সরকার প্রথমেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিল তারা কলকাতা ও হাওড়ায় আগে ভোট চায়। ১৯ ডিসেম্বর সেই ভোটের আর্জি জানিয়েছিল শাসকদল। যদিও সেই দাবিতে সিলমোহর পড়েনি। কলকাতায় ১৯ তারিখ ভোট হলেও, হাওড়ায় আপাতত ভোট নয়।

কিন্তু এতগুলো পুরসভায় ভোট বাকি থাকলেও শুধুমাত্র একটিতে কেন ভোট হচ্ছে তা নিয়ে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হয়। কেন সবক’টি পুরসভায় একসঙ্গে ভোট হবে না তা জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। সেই মামলার শুনানিতে আদালত রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেছিল।

একইসঙ্গে উঠে এসেছিল পুরভোটে ইভিএমের ব্যবহারের প্রসঙ্গও। ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চেয়েছিল, সব পুরভোট করতে কত ইভিএম লাগবে? কমিশনের জবাব ছিল, তাদের হাতে ১৫৬৮৭ ইভিএম আছে। সমস্ত পুরসভায় ভোটে কত ইভিএম দরকার তার স্ক্রুটিনি দরকার। কমিশন জানিয়েছিল, বিভিন্ন রাজ্য গুজরাট, তামিলনাড়ু, উত্তর প্রদেশ, সিকিম, কেরল থেকে ইভিএম চাওয়া হয়। কেউ ইভিএম দিতে পারেনি একমাত্র অরুনাচল প্রদেশ ছাড়া।

গত শুক্রবারও শুনানির একেবারে শেষ পর্যায়ে এসেও আদালত আবার জানতে চেয়েছিল ‘পরিকল্পনা কী? কবে, কত দফায় ভোট?’ রাজ্যের তরফে এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রাজ্য ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চায়। কোভিডের কথাই তারা ভাবছে। মঙ্গলবার রায়দানের সময় আদালত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে কী নির্দেশ দেয় সেদিকেও নজর থাকছে।

আরও পড়ুন: নেতাজি জীবিত না মৃত? উত্তর চেয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা দিতে বলল হাইকোর্ট