Satish Kaushik: এই প্রথম জন্মদিনে বাবা নেই, সতীশ-কন্যার জন্য অনুপমের চিঠি আপনাকে কাঁদাবেই…
Satish Kaushik: ৯ মার্চ ২০২৩, ঘটে যায় এক অনভিপ্রেত ঘটনা, হৃদরোগে আচমকাই আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বলিউড অভিনেতা সতীশ কৌশিক। থমকে যায় গোটা বলিউড।
৯ মার্চ ২০২৩, ঘটে যায় এক অনভিপ্রেত ঘটনা, হৃদরোগে আচমকাই আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন বলিউড অভিনেতা সতীশ কৌশিক। থমকে যায় গোটা বলিউড। সতীশের একমাত্র বংশীকার জন্য মন দ্রব হয়ে ওঠে সকলেরই। তাঁর কান্নাভেজা চোখ দেখে চোখ ভিজে ওঠে সাধারণের। এই গোটা সময়টা বংশীকার পাশে দাঁড়ান সতীশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অনুপম খের। তাকে আগলে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন সারাজীবনের। আজ বংশীকার জন্মদিন। বাবাকে ছাড়া এটিই তাঁর প্রথম জন্মদিন। বাবা না থাকলেও বংশীকার জন্য আবেগঘন বার্তা তার ‘অনুপম আঙ্কল’-এর, যা পড়লে মন ভিজবে আপনারও।
বংশীকার উদ্দেশে অনুপম লেখেন, “শুভ জন্মদিন বংশীকা। ঈশ্বর তোকে এই দুনিয়ার সমস্ত খুশি দিন। সব স্বপ্ন যেন সত্যি হয় তোর। আমি জানি আজ বাবাকে খুব মিস করছিস তুই। কিন্তু ও তোকে উইশ করছে আর ওই উপর থেকে গাইছে ‘হ্যাপি বার্থডে বংশীকা’। সবাই তোকে ভালবাসে। তুই আমার কাছে মেয়ের চেয়েও বেশি। তুই সুন্দর, মেধাবী, উজ্জ্বল আর মজাদার একজন মানুষ। তুই সবার থেকে আলাদা। বাকি জীবনের জন্য আমার ভালবাসা দিলাম। ব্যস, সুস্থ থাকিস।” কলেজ জীবনটা একসঙ্গেই কাটিয়েছেন সতীশ ও অনুপম। ইন্ডাস্ট্রিতে পথচলা শুরু তখন থেকেই। একসঙ্গে দেখেছেন উত্থান পতন, সারাজীবন একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হয়েছিলেন ওঁরা। সতীশ চলে গিয়েছেন ঠিকই, তবে তাঁর পরিবারকে আগলে রাখার দায়িত্ব নিয়েছেন অনুপম। দায়িত্ব নিয়েছেন বংশীকারও।
এর আগে সতীশের উদ্দেশে এক খোলাচিঠি লিখেছিল তাঁর ছোট্ট মেয়ে। লিখেছিল, “আমি তোমার জন্য পুজো করেছি। ভগবানের কাছে প্রার্থণা করেছি তুমি যাতে স্বর্গে খুব ভাল থাকো। সেখানে তোমার একটা প্রাসাদ থাকুক। ফেরারি, রোলস রয়াস ও একটা ল্যাম্বরগিনি থাকুক। খুব ভাল ভাল খাবার খাও। আমাদের আবার ৯০ বছর পর দেখা হবে বাবা। তার আগে পুনর্জন্ম নিও না।” ওই চিঠি পড়ে কেঁদে ফেলেছিলেন অনুপম। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বংশীকাকে এক সুন্দর জীবনদানের। প্রতিজ্ঞা কিন্তু তিনি রাখছেন…।