Deepti Naval: জালিয়ানওয়ালা বাগ শোকের জায়গা, সেলফি তোলার নয়: দীপ্তি নভল
Jallianwala Bagh: ঐতিহাসিক জালিয়ানওয়ালা বাগের সংস্কার করা হয়েছে সম্প্রতি। কিছুদিন আগেই নয়া রূপ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শুক্রবার (১৮.০৬.২০২২) সিমলায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাহিত্য অনুষ্ঠান আলো করেছেন অভিনেত্রী ও লেখক দীপ্তি নভল। জালিয়ানওয়ালা বাগের সংস্কার সম্পর্কে নিজের মত প্রকাশ করেছেন দীপ্তি। অভিনেত্রী মনে করেন, অমৃতসর আর আগের মতো নেই। ছোটবেলার অনেকখানি সময় সেখানে কাটিয়েছেন দীপ্তি। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালা বাগে হত্যা করা নিরীহ দেশবাসীকে। হত্যা-কাণ্ড চালিয়েছিল তৎকালীন ইংরেজ সরকার। ঘটনা ঘটার পরপরই ইংরেজদের দেওয়া ‘স্যর’ উপাধি ফিরিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ঐতিহাসিক জালিয়ানওয়ালা বাগের সংস্কার করা হয়েছে সম্প্রতি। কিছুদিন আগেই নয়া রূপ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
‘ম্যায় জ়িন্দা হুঁ’, ‘মির্চ মাসালা’, ‘অনকহিঁ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দীপ্তি। তাঁর কাজ সকলের ভাল লেগেছিল। নানা সময়ের ভারতীয় মহিলাদের বড় পর্দায় তুলে ধরেছেন দীপ্তি। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি দেখে প্রশংসা করেছেন দীপ্তি। তবে জালিয়ানওয়ালা বাগের সংস্কার নিয়ে তিনি খুব একটা খুশি নন। বলেছেন, “ঐতিহাসিক হত্যাকাণ্ডের স্মৃতিকে স্পর্শ করা উচিত হয়নি। কোনও পরিবর্তনই করা উচিত হয়নি। জালিয়ানওয়ালা বাগের মাটি দেশবাসীর রক্তে রাঙানো। সেই স্মৃতিকে সংস্কার করা উচিত হয়নি। যেখানে দেশবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে মানুষ সেলফি তোলে। এ সব দেখে আমার খুবই খারাপ লাগে। জালিয়ানওয়ালা বাগ শোকের জায়গা, সেলফি তোলার নয়।” এই কথা বলতে গিয়ে হিরোসিমার কথা বলেছেন দীপ্তি। জাপানের ঐতিহাসিক জায়গায় বোমার চিহ্ন রেখে দেওয়া হয়েছে।
২ জুলাই একটি বই প্রকাশিত হবে দীপ্তির। সেই বইটির নাম ‘আ কান্ট্রি কলড চাইল্ডহুড’। অমৃতসরে কাটানো অভিনেত্রীর ছোটবেলার কাহিনি নিয়ে এই বই। তবে দীপ্তি নিশ্চিত নন, এই বই নিয়ে আদতেও ছবি তৈরি হবে কি না।