Dada Saheb Phalke Award: ৬৮ তম দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাচ্ছেন আশা পারেখ
Asha Parekh: ১৯৫৯ সালে লেখক-পরিচালক নাসির হুসেনের প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে ফিরে আসেন দিল দেকে দেখো ছবিতে আশা পারেখ। ছবিতে শাম্মি কাপুর ছিলেন তাঁর নায়ক।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার এই বছর প্রখ্যাত অভিনেত্রী আশা পারেখকে দেওয়া হবে, সংবাদ সংস্থা এএনআই কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য নিয়ে জানিয়েছে। ১৯৯২ সালে ভারত সরকার আশা পারেখকে সিনেমায় তাঁর অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করেছিল। হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তিনি একজন প্রভাবশালী অভিনেত্রীদের একজন হিসাবে বিবেচিত হন। আশা পারেখের সিনেমা কেরিয়ারের সেরা সময় ১৯৬০-৭০ এর দশক। তিনি একজন শিশু শিল্পী হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। চলচ্চিত্র নির্মাতা বিমল রায় কর্তৃক মা (১৯৫২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যখন তাঁর বয়স মাত্র ১০ বছর। কয়েকটি চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করার পরে, অভিনেত্রী তাঁর পড়াশোনা শেষ করার জন্য বিরতি নেন।
Dada Saheb Phalke Award to be conferred to actor Asha Parekh this year: Union Minister Anurag Thakur pic.twitter.com/gP488Ol4zH
— ANI (@ANI) September 27, 2022
১৯৫৯ সালে লেখক-পরিচালক নাসির হুসেনের প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে ফিরে আসেন দিল দেকে দেখো ছবিতে আশা পারেখ। ছবিতে শাম্মি কাপুর ছিলেন তাঁর নায়ক। আশা এবং হুসেন একসঙ্গে একাধিক হিট ছবি উপহার দিয়েছিলেন সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে। যার মধ্যে জব প্যায়ার কিসি সে হোতা হ্যায় (১৯৬১), ফির ওহি দিল লায়া হুঁ (১৯৬৩), তিসরি মঞ্জিল (১৯৬৬), বাহারোঁ কে সপনে (১৯৬৭), প্যায়ার কা মৌসুম (১৯৬৯) আর ক্যারাভান (১৯৭১)। রাজ খোসলার দো বদন (১৯৬৬), চিরাগ (১৯৬৯) এবং ম্যায়ঁ তুলসি তেরে অঙ্গন কি (১৯৭৮) এবং শক্তি সামন্তের কাটি পাতং-এর মতো হিট ছবি বলিউডকে দিয়েছেন। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করলেও বেশি পরিচিতি ছিলেন তাঁর গাম্ভীর্য্যপূর্ণ আর দুঃখজনক ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য।
আশা পারেখ গুজরাটি, পাঞ্জাবি এবং কন্নড় ছবিতেও কাজ করেছেন। ৭০ আর ৮০ এর দশকের শেষের দিকে তাঁকে তখন ‘চরিত্রাভিনেত্রী’ বলা হত। এরপর তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে নিজের প্রযোজনা সংস্থা শুরু করেন। তিনি গুজরাটি সিরিয়াল জ্যোতি (১৯৯০) পরিচালনা করেন এবং পলাশ কে ফুল, বাজে পায়েল, কোরা কাগজ এবং ডাল মে কালা-এর মতো শো প্রযোজনা করেন।
দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান। পূর্ববর্তী প্রাপকদের মধ্যে রয়েছেন সত্যজিৎ রায়, রাজ কাপুর, যশ চোপড়া, লতা মঙ্গেশকর, তপন সিনহা, মৃণাল সেন, গুলজার, প্রাণ, শশী কাপুর, দীলিপ কুমার, মনোজ কুমার, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যা, অমিতাভ বচ্চন, বিনোদ খান্না প্রমুখ। দেবিকা রানী ১৯৬৯ সালে প্রথম এই সম্মানে সম্মানীত হন। ২০১৯ সালে শেষ এই সম্মান পান অভিনেতা রজনীকান্ত। মাঝে কোভিডের জন্য পুরস্কার প্রদান বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের পুরস্কার এবার দেওয়া হচ্ছে। ৬৭তম পুরস্কার পান রজনীকান্ত, ৬৮তম নাম আশা পারেখ কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের বক্তব্য অনুয়াযী।