Rupankar Controversy: কেকে-কে কটাক্ষ, জনরোষের পর এবার রূপঙ্করের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা ‘মিও আমোরে’-র
Rupankar Controversy: জনৈক নেটিজ়েন সর্বজিৎ মৈত্র ফেসবুক একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ''দয়া করে রূপঙ্কর বাগচীর গানটি আপনাদের ব্র্যান্ড থেকে সরিয়ে নিন।
ফেসবুক লাইভে ‘হু ইজ কেকে’ মন্তব্য। তারপরই আকষ্মিক প্রয়ান সঙ্গীতশিল্পী কেকে-এর। আর খলনায়ক রূপঙ্কর বাগচী(Rupankar Bagchi)। গানের জগতে যাঁদের নাম করেছিলেন নিজের ভিডিয়োতে, তাঁরা তাঁকে সমর্থন করছেন না। এবার তালিকায় জুড়ল আর একটি বয়কটের দাবি। কেকের মৃত্যুর পর রূপঙ্করকে নানাভাবে বিঁধছেন নেটিজ়েনরা। অনেকের দাবি, রূপঙ্করের অভিশাপেই নাকি মৃত্যু হয়েছে বলিউডের জনপ্রিয় গায়কের। যত দিন যাচ্ছে কেকে-রূপঙ্কর বিতর্ক কমার বদলে আরও বেড়েই চলেছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ফেসবুক, টুইটারে রূপঙ্করের বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে হ্যাশট্যাগ ‘বয়কট রূপঙ্কর’। এর মধ্যেই জনৈক নেটিজ়েন সর্বজিৎ মৈত্র ফেসবুক একটি পোস্টে লিখেছিলেন, ”দয়া করে রূপঙ্কর বাগচীর গানটি আপনাদের ব্র্যান্ড থেকে সরিয়ে নিন। না হলে আপনাদের ব্র্যান্ডের উপরই প্রভাব পড়বে। মানুষ আপনাদের ব্র্যান্ড ছেড়ে অন্য সংস্থা বেছে নেবে।”
সর্বজিতের এই পোস্টের উত্তরে মিও আমোরের তরফে লেখা হয়, ”গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্যে আমরা দুঃখিত। মিও আমোরে কোনওভাবেই রূপঙ্করের এই মন্তব্য সমর্থন করে না। গ্রাহকদের আবেগের কথা মাথায় রেখেই আমরা ব্র্যান্ডের এই জিঙ্গলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন।” এই লেখা দিয়েই থেমে থাকেনি মিও আমোরে। গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে তাঁরা দ্রুত এই জিঙ্গল বন্ধ করার কথাও ঘোষণা করে সংবাদ মাধ্যমে।
এর মধ্যে রুপঙ্কর সাংবাদিক বৈঠক করে দুঃখপ্রকাশ করেন কেকে-এর পরিবারের কাছে। এই ঘটনার পর মিও আমোরের চিফ অপারেটর অফিসার শিখরেশ সাহার সঙ্গে TV9 বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়, প্রশ্ন ছিল রূপঙ্কর দুঃখপ্রকাশ করার পর কি তাঁরা জিঙ্গলের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন? উত্তরে শিফরেশ বললেন, ” এখনই সেই নিষেধাজ্ঞা তুলছি না। এমনিতে এই জিঙ্গল ২০১৭ সাল থেকে চলছিল। অন্য কিছু করার কথা ভাবাই হচ্ছিল। শুধু রেডিয়োতে চলত এই জিঙ্গল। তা দিয়ে তো আমাদের ব্যবসা চলে না। আসল গ্রাহক। তাঁদের অনুভূতিই আমাদের কাছে সবার আগে।” এর পাশাপাশি জানিয়ে রাখলেন, আগামী দিনে নতুন কিছু তৈরি হলে তাঁরা রূপঙ্করকে নিতেও পারেন, আবার নাও নিতে পারেন। পুরোটাই নির্ভর করছে কী জঙ্গিল বা গান তৈরি হয় তার উপর। যদি রূপঙ্কের গলা যায় তাতে, নেওয়া হতে পারে। আর না গেলে নেওয়া হবে না। তবে সবটাই এখন বলার মত জায়গায় নেই। এখন শুধু গ্রাহকের কথা মাথায় রেখেই বন্ধ থাকছে জিঙ্গল।
‘মিও আমোরে মিও আমোরে…’ রূপঙ্কর বাগচীর গাওয়া এই বিজ্ঞাপনী জিঙ্গলটি কেবলমাত্র বাজত রেডিয়োতে। জানা গিয়েছে ১ জুন থেকে আর বাজবে না এই জিঙ্গল। তাঁরা গায়কের বক্তব্যের সমরথ্ন করেন না, এটা বারবার বলেছেন। মিও আমোরের গান এরপর কী হবে সেটা পরবর্তী সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এখন আপাতত বন্ধ থাকবে ওই জিঙ্গল। একটি ভিডিয়ো গায়র রুপঙ্করের কেরিয়ারে কতটা ক্ষতি করছে তার প্রমাণ আরও একবার পাওয়া গেল।