পাক শিল্পীর তুলিতে ট্রাকের গায়ে ফুটে ওঠে বাংলার বাঘ বাঁচানোর কাতর আর্তি

হায়দারের ট্রাক-বার্তা নতুন নয়। ২০০২ সালেই এই কাজের জন্য মিলেছিল পুরস্কার। বাবাও ছিলেন এই একই পেশায়। সেখান থেকেই প্রশিক্ষণ। করাচিতে জন্ম নেওয়া হায়দারের পূর্বপুরুষের বাস ছিল এ দেশেই।

পাক শিল্পীর তুলিতে ট্রাকের গায়ে ফুটে ওঠে বাংলার বাঘ বাঁচানোর কাতর আর্তি
শিল্পী ও কৃষ্টি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2021 | 3:38 PM

কৃষ্টি সীমানা মানে না। বিশ্ব জুড়ে বাঘ বাঁচানোর কাতর আর্তি মানে না বিভেদের বেড়াজাল। তাই পাক শিল্পীর তুলির টানেই জীবন্ত হয়ে ওঠে বাংলার বাঘ। ক্যানভাসে নয়, বিশ্বের দরবারে বার্তা পৌঁছে দিতে শিল্পী বেছে নেন ট্রাক।

২৯ জুলাই, বিশ্ব ব্যাঘ্র দিবস। ওদের হয়ে কথা বলার দিন। চোরাশিকার, জঙ্গল কেটে সভ্যতার ক্রমবিকাশের দৌলতে ওদের বিলুপ্তির কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া দিন। আর এই বিশেষ দিনেই পাকিস্তানের ট্রাক-আর্ট শিল্পী হায়দার আলির হাতে জীবন্ত হল ব্যঘ্র সংরক্ষণের বার্তা। শিল্পী মনে করেন, জঙ্গল আছে, বাঘ আছে, তবেই তো জীবন রয়েছ। শিল্পী মানেন, বাঘের অবলুপ্তি বাস্তুতন্ত্রের উপর সজোরে আঘাত। তাই হায়দারের তুলিতে জীবন্ত হওয়া ট্রাক কাঁটাতার পেরিয়ে ছুটতে থাকে দেশ থেকে দেশে, ভুলে যায় বিভেদের বিষ-যন্ত্রণা।

হায়দারের ট্রাক-বার্তা নতুন নয়। ২০০২ সালেই এই কাজের জন্য মিলেছিল পুরস্কার। বাবাও ছিলেন এই একই পেশায়। সেখান থেকেই প্রশিক্ষণ। করাচিতে জন্ম নেওয়া হায়দারের পূর্বপুরুষের বাস ছিল এ দেশেই। হায়দারের কাজকে জনমানসে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে শের নামক এক সংস্থা। ট্রাক যেন ‘রানার’। রাজ্য থেকে রাজ্যে, গ্রাম থেকে শহরে প্রহরীর মতো ছুটে চলে সে। আর এই ট্রাকের চলমানতার শরীক হয় হায়দারের বাঘ বাঁচানোর বার্তা। পৌঁছে যায় ঘরে ঘরে। হায়দার চান না বিভেদের হানাহানি। চান না বাঘ নিয়েও কাঁটাতারের জমি দখলের খেলা। তাই তো তাঁর তুলিতে জীবন্ত হয়ে ওঠে রয়্যাল বেঙ্গলও। তুলির টানেই বলে ওঠে ‘বাঁচতে চাই।’

আরও পড়ুন-“জঙ্গল এখন আইল্যান্ড হয়ে গিয়েছে, বাঘের বংশবৃদ্ধির ক্ষেত্রে যা বড় সমস্যা,” বললেন সাফারি অর্গানাইজ়ার-ব্যাঘ্রপ্রেমী তমানুদ মিত্র