Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ganesh Chaturthi : জাহাঙ্গীরের প্রথম পুজো, তৈমুর বানাল কাদামাটির গণেশ ঠাকুর

কাদামাটি দিয়েই নিজের মতো করে নিজের হাতে গণেশ ঠাকুর গড়ল সে। সেই ঠাকুর বাহারি রঙের। তৈমুরের বানানো ঠাকুর শেয়ার করেছেন মা করিনা। আরও বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি।

Ganesh Chaturthi : জাহাঙ্গীরের প্রথম পুজো, তৈমুর বানাল কাদামাটির গণেশ ঠাকুর
সপরিবারে...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 10, 2021 | 2:28 PM

সপরিবারে গণেশ পুজোয় মাতলেন করিনা কাপুর খান। দুই ছেলে ও স্বামী সইফকে নিয়ে গণপতির কাছে জানালেন মনের কথা, করলেন প্রার্থনা। করিনার দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীরের এটি প্রথম গণেশ পুজো, অন্যদিকে জন্মের পর থেকেই পরিবারের সঙ্গে গণেশ ঠাকুরকে নিজের মতো করে ভালবেসেছে তৈমুর। গতবারও বিশেষ ভাবে গণেশ মূর্তি তৈরি করেছিল সে। এবার তুলে নিল কাদামাটি।

কাদামাটি দিয়েই নিজের মতো করে নিজের হাতে গণেশ ঠাকুর গড়ল সে। সেই ঠাকুর বাহারি রঙের। তৈমুরের বানানো ঠাকুর শেয়ার করেছেন মা করিনা। আরও বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে সাবেকি পোশাকে সেজে বাবা ছেলে ও মা করজোড়ে প্রার্থনা জানাচ্ছেন ঠাকুরের কাছে। সামনে প্রজ্বলিত প্রদীপ আর ধূপ। রয়েছে পুজোর নানাবিধ উপকরণ। জেহ’র ছবি যদিও শেয়ার করেননি করিনা। তবে সঙ্গী যে সেও সে আন্দাজ করাই যায়।

দিন কয়েক আগেই দুই ছেলের নাম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে তা নিয়ে মুখ খুলেছেন করিনা। ইতিহাস বলছে, নুরুউদ্দিন মহম্মদ সেলিম বা জাহাঙ্গীর ছিলেন মুঘল সাম্রাজ্যের চতুর্থ সম্রাট। তিনি ১৬০৫ সাল থেকে তার মৃত্যু অবধি ১৬২৭ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। এর আগে প্রথম সন্তানের নাম তৈমুর রাখা নিয়ে সমালোচিত হয়েছিল কাপুর ও খান পরিবার। অত্যাচারী শাসক তৈমুরের নামে কী করে ছেলের নামকরণ হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জাহাঙ্গীরের বেলাতেও অন্যথা হয়নি। করিনার কথায়, “আর কোনও উপায় নেই। আমায় ধ্যান করতে হবে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। একটি মুদ্রায় দুটি পিঠ। পজেটিভ-নেগেটিভ। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তবে হ্যাঁ আমি খুশি থাকব ও একই সঙ্গে পজেটিভ থাকব।”

মাস খানেক আগে প্রকাশ পেয়েছে করিনার লেখা বই। নিজের লেখা ‘করিনা কাপুর খানস্ প্রেগন্যান্সি বাইবেল’ বইতে শুধু দ্বিতীয় সন্তানের নামই ফাঁস করেননি করিনা। জানিয়েছেন সন্তান গর্ভে আসার পর শারীরিক এবং মানসিক পরিবর্তনের নানা কথাও। সেই পরিবর্তন নিজের জীবনে কীভাবে সামলেছেন করিনা, সে সবই এই বইয়ের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন তিনি। হবু মায়ের কেমন ডায়েট প্রয়োজন, কতটা ওয়ার্কআউট আসন্ন সন্তানের জন্য ভাল, সে সব সাজেশনও দিয়েছেন তিনি। করিনা আরও জানিয়েছেন, সন্তান জন্ম নেওয়ার পর যে স্ট্রেচ মার্কস হয় তা নয়ে বেশ চিন্তায় ছিলেন তিনি। সমস্যার এখানেই শেষ নয়, সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই বাচ্চার জন্য একগাদা শপিং করা তাঁর যেন অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। ভালবাসা জন্মেছিল পিৎজার প্রতিও। বহুবার বহু মানুষ তাঁকে প্রশ্ন করেছেন, “আমি কি তোমার বেবিবাম্প ছুঁয়ে দেখতে পারি?”

অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে দিয়েও যেতে হয়েছে করিনা কাপুর খানকে। করিনা জানিয়েছেন এমন অনেক সময় হয়েছে তিনি হাসছেন, খুব হাসছেন কিন্তু হঠাৎ করেই কান্না পেয়ে গিয়েছে ওই হাসির মুহূর্তের মাঝেই। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘মুড সুইং’ স্বাভাবিক বিষয়, করিনাও তার ব্যক্তিক্রম নন। আবার হাঁচতে গিয়ে প্রস্রাব হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে তাঁর সঙ্গে।