Saroj-Madhuri: ‘বুকের স্টেপ অশ্লীল’, মাধুরীর ‘ধক-ধক’ যখন সেন্সর বোর্ডের কোপে
Bollywood Controversy: সেই সময় যা সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিল, তা হল বেটা ছবির গান ধক ধক করনে লাগা, যেখানে মাধুরী দীক্ষিত ও অনিল কাপুর একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। এই গানকেই সেন্সর বোর্ড থেকে আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা কি জানেন?

সেলেবদের কেরিয়ারে এমন বেশ কিছু কাজ থেকে যায় যা তাঁদের পরিচিতি তৈরি করে। যেমন হেমা মালিনির ক্ষেত্রে ড্রিম গার্ল, কিংবা মাধুরী দীক্ষিতের জন্য ধক ধক গার্ল। এই ধক ধক গার্ল নামটি তাঁর এসেছিল ধক ধক করনে লাগা গান থেকে। বেটা ছবির এই গান রাতারাতি জায়গা করে নিয়েছিল দর্শক মনে। এই গানের কোরিওগ্রাফ করেছিলেন সরোজ খান। তাঁর ও মাধুরী দীক্ষিতে জুটি বারবার দর্শক দরবারে প্রশংসিত। তিনি মনে করেন, মাধুরী নিখুঁত ডান্সার। তবে মাধুরী নিজের এই দিকটা নিয়ে বেশি চর্চা করলেন না, বলেও পরবর্তীতে আক্ষেপ করতে দেখা যায় তাঁকে। তবে সে আক্ষেপ পরবর্তীতে করেছিলেন তিনি।
সেই সময় যা সকলের নজরের কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছিল, তা হল বেটা ছবির গান ধক ধক করনে লাগা, যেখানে মাধুরী দীক্ষিত ও অনিল কাপুর একসঙ্গে কাজ করেছিলেন। এই গানকেই সেন্সর বোর্ড থেকে আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা কি জানেন? মাধুরী দীক্ষিতের যে পোজ় এই গানে দেখা গিয়েছিল, তা নাকি তৎকালিন দর্শকদের জন্য উপযুক্ত নয় বলেই মনে করা হয়েছিল সেন্সর বোর্ড থেকে।
সেন্সর বোর্ডের দাবি ছিল, এই গানের বেশ কিছু বাদ দিলে ভাল হয়, কারণ তা খুব বেশি উত্তেজকমূলক বলেই মনে করেছিল কেন্দ্রিয় এই সংস্থা। সরোজ জানান, সেন্সর বোর্ড চেয়েছিল গানের পুরো মুখরাটাই বাদ দিয়ে দিতে। এরপর ভিতরে যান সরোজ, সেখানে দেখেন এক সিন্ধি মহিলা রয়েছেন। তিনি শাড়ি পরেছেন, পাশাপাশি হিল পরে আছেন। দেখা মাত্রই সরোজ বলেন, ”আপনি হাঁটুন, হাঁটার সময় দেখবেন আপনার পশ্চাতদেশ বেশি নড়ছে, কারণ আপনি হিট পরেছেন। এটা স্বাভাবিক, তাই বলে কি আপনাকে বলা হবে আপনি দৃষ্টিকটু কোনও কাজ করছেন। আমার গানের অংশেই স্পষ্ট লেখা রয়েছে ধক-ধক, এই ধক-ধক শব্দটা আসে কোথা থেকে? যেখান থেকে আসে, সেই অংশটাই যে আমি দেখাব, সেটাই তো স্বাভাবিক। নাচ মানেই তো গোটা শরীর নাচানো। এরপরই ছাড়পত্র পায় এই গান।”





