Jatra Workshop: ৩ লাখ টাকা বার্ষিক আয়! যাত্রা কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিতে ভিড় গবেষক, এমফিল, বিজ্ঞানের ছাত্রদের

Jatra: কেবলই কি ভালবেসে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা ঝুঁকেছেন যাত্রার দিকে, নাকি কর্মসংস্থানের বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নিতে চান এই বিনোদন মাধ্যমকে?

Jatra Workshop: ৩ লাখ টাকা বার্ষিক আয়! যাত্রা কর্মশালায় প্রশিক্ষণ নিতে ভিড় গবেষক, এমফিল, বিজ্ঞানের ছাত্রদের
বাগবাজারে যাত্রার ওয়ার্কশপ।
Follow Us:
| Updated on: Jul 19, 2022 | 11:57 AM

স্নেহা সেনগুপ্ত

গবেষক, স্নাতক, বিজ্ঞানের ছাত্র অংশ নিয়েছে। ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত বাগবাজারের পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমিতে যে প্রশিক্ষণ-কর্মশালা চলেছে, তাতে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলেন শিক্ষিত-শহুরে ছেলেমেয়েদের একটা বড় অংশ। যাত্রায় অভিনয় করলে নবাগতরা উপার্জন করতে পারবেন শো-পিছু ৩ হাজার টাকা। বছরে ৩ লাখ টাকা রোজগার পাকা। চাকরির আকাল-বাজারে কেবলই কি যাত্রাকে ভালবেসেই শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা ঝুঁকেছেন যাত্রার দিকে, নাকি কর্মসংস্থানের বিকল্প পথ হিসেবে বেছে নিতে চান এই বিনোদন মাধ্য়মকে? সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিনোদন যখন মোবাইল স্ক্রিনে, তখন মুক্তমঞ্চের অভিনয় ঠিক কতখানি গুরুত্ব পাচ্ছে নতুন প্রজন্মের কাছে? উত্তর খুঁজল TV9 বাংলা।

একটা সময় যাত্রা শিল্পীদের ঘরভাড়া দেওয়া হত না। এখন কতখানি পাল্টেছে সেই চিত্রটাও। যাত্রাভিনেতা ও প্রশিক্ষক পুষ্পেন্দু মুখোপাধ্য়ায় বলেছেন, “আমাদের তো জায়গা ছাড়তে হবে নতুনদের। সেই জন্যই এই কর্মশালায় আমরা ওঁদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি এই ভাবে। যাত্রা করলেও পয়সাকড়ি উপার্জন করা যায়। শিল্পী হিসেবে যাত্রাকে সকলে ভালবাসেন। একটা সময় ছিল যখন যাত্রার শিল্পীদের বাড়িভাড়া দেওয়া হত না। কিন্তু এখন ডেকে-ডেকে বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়।”

যাত্রায় প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন গবেষক সোমাঞ্জন মণ্ডল। TV9 বাংলাকে তিনি বলেছেন, “অনেকেই মনে করেন যাত্রা করে ফাতরা লোকে। কিন্তু আমার একটা আগ্রহ ছিলই। বিষয়টাকে কাছ থেকে জানতে চেয়েছি, বুঝতে চেয়েছি। এখানে এসে আমার খুব উপকারও হয়েছে। অনেক নতুন-নতুন ছেলেমেয়ে যোগদান করেছেন। তাঁরা যাত্রাকে পেশা হিসেবে নিতে চাইছেন। এটা কিন্তু বেশ ভাল লক্ষণ।”

বাগবাজারে পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমির কার্যালয়ে ১৫দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হবে, এই কথা লিখে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। ১০০ জনের আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। অডিশনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয়েছে ছেলেমেয়েদের। ৪৩ জন তরুণ-তরুণী যোগদান করেছেন কর্মশালায়, যাঁদের অনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, গবেষক, এমফিল। তথাকথিত শিক্ষিত শহুরেদের নজরে যাত্রা যেখানে অনেকটাই নাক-সিঁটকানোর বস্তু, সেখানে এবারের কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের অংশগ্রহণ অবাক করেছে কর্তৃপক্ষকেও। পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমির সচিব তপনকুমার সরকার বলেছেন, “আমরা যখন এক কর্মশালার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলাম, ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল, ‘নবীন প্রতিভার খোঁজে যাত্রা’। আমরা চাইছিলাম শিক্ষিত ও লেখাপড়া জানা ছেলেমেয়েরাই যাত্রায় আসুক।”