Papon Hospitalized: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই বিদেশের পথে পাপন
Viral Post: সে রাত জাগছে, বাবার পাশে বসে আছে, সমস্যায় পাশে থাকার চেষ্টা করছে, ঠিক যেন অভিভাবক। ছেলের সেবাতেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন পাপন।
পাপন। গত একদিন ধরে যাঁকে নিয়ে চিন্তার পারদ ছিল তুঙ্গে। ভক্ত মনে একটাই প্রশ্ন বারে বারে ফিরে এসেছিল কেমন আছেন এখন গায়ক? কী হয়েছেন তাঁর? হাসপাতালে ভর্তি থাকার খবর জানানো পোস্টের একদিনের মাথাতেই স্বস্তির খবর শোনালেন পাপন। শেয়ার করছেন ছবিও। ছুটি পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। ভাল আছেন তিনি। যাচ্ছেন বিদেশে। পরিবারের সঙ্গেই। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলেও জানান তিনি। বাড়ির তৈরি খিচুরি সঙ্গে নিয়েই বিমান যাত্রা পাপনের। তবে এই অসুস্থতা পাল্টে দিয়ে গিয়েছে অনেক কিছুই। চোখের সামনে সন্তানকে বেড়ে উঠতে দেখলেন তিনি রাতারাতি।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘম্টায় ভাইরাল পাপনের অসুস্থতার প্রথম পোস্ট। কোলের ছোট্ট শিশু যে বাবা-মার চোখের সামনে কবে বেড়ে ওঠে, অনেকেই তা বুঝে উঠতে পারেন না। বুঝিয়ে দিয়ে যায় পরিস্থিতি। গায়ক পাপনের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটাই ঘটল। অসুস্থ পাপন, ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। চলছে চিকিৎসা। হাসপাতালের বিছানা থেকেই পাপন এবার এক দীর্ঘ পোস্ট করলেন, যার পরতে পরতে কেবল আবেগে ভাসার ছবিই বর্তমান। ছেলের বয়স মাত্র ১৩ বছর। নাম পুহর। সে রাত জাগছে, বাবার পাশে বসে আছে, সমস্যায় পাশে থাকার চেষ্টা করছে, ঠিক যেন অভিভাবক। ছেলের সেবাতেই ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন পাপন।
নিজে বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় ছেলের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করলেন তিনি। লিখলেন, এই যুদ্ধ সাধারণত আমরা একাই সামনে থাকি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের পোস্ট করাতে বিশ্বাসী নই। কিন্তু শেষ রাতটা ছিল আলাদা। প্রথম বারের জন্য আমার ছোট্ট ১৩ বছরের সন্তান হাসপাতালে আমার রাতের অ্যাটেন্ডেন্টের কাজ করেছে। এটা একটা আবেগঘন মুহূর্ত। আমি এই মুহূর্ত আমার বন্ধু ও আমার শুভাকাঙ্খীদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। আমার মনে পড়ে একটা সময় এই কাজ আমি আমার মা-বাবার জন্য করে থাকতাম। আমি আশা করব তাঁরা আমার চারপাশে থেকে এই দৃশ্যের সাক্ষী থাকছেন। আমার নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে। সকলকে তাঁদের ভালবাসা ও আশীর্বাদের জন্য ধন্যবাদ। আমি এখন অনেকটাই ভাল আছি।
যদিও এই সম্পূর্ণ পোস্টে কোথাও পাপন তাঁর কী হয়েছে তা উল্লেখ করেননি। সেই কারণেই পোস্ট দেখা মাত্রই উদ্বেগ ছড়িয়েছিল ভক্তদের মনে। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় এই পোস্ট। সকলেই পাপনের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন।
We all fight these small battles alone. I don’t personally like posting these incidents on social media. But last night was different. It was for the first time, my little boy who is all of 13 opted to be the night attendant at the hospital! 1/3 pic.twitter.com/BnJUR0U98t
— papon angaraag (@paponmusic) May 12, 2023