Salman Night: প্রভু দেবা ইমোশন! প্রভু দেবা প্রাপ্তি! ‘রঙ্গবতী’ নাচে প্রভু-ম্যাজিক নিয়ে কী বললেন ইমন-সুরজিৎ?

Inside Story: ১৯৯৪ সালে ' হাম সে হ্যায় মুকাবলা ' ছবিতে 'উর্বশী উর্বশী' গানের কোরিওগ্রাফিতে চমকে দিয়েছিলেন ভারতবাসীকে। সেই গানেই শুরুটা করেছিলেন 'দাবাং দ্য ট্যুর রিলোডেড' অনুষ্ঠান । মিনিটেই চমকে দিলেন লাল হলুদ মাঠে বসে থাকা জনতাকে।

Salman Night: প্রভু দেবা ইমোশন! প্রভু দেবা প্রাপ্তি! 'রঙ্গবতী' নাচে প্রভু-ম্যাজিক নিয়ে কী বললেন ইমন-সুরজিৎ?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 14, 2023 | 1:33 PM

মঞ্চে এক এক করে তারকাদের ডেকে নিচ্ছেন সঞ্চালক মণীশ পল। একের পর এক বলিউড তারকার পারফরম্যান্সে ভাইজানকে দেখার ওয়ার্ম আপ সেরে নিচ্ছে দর্শক। সেই সময় মঞ্চে প্রভু দেবা উঠতেই উৎসাহ আগের থেকে বাড়ল। তিনি যে ডান্স গুরু। বলিউডে নাচের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করে দিয়েছিলেন প্রভু দেবা। ১৯৯৪ সালে ‘ হাম সে হ্যায় মুকাবলা ‘ ছবিতে ‘উর্বশী উর্বশী’ গানের কোরিওগ্রাফিতে চমকে দিয়েছিলেন ভারতবাসীকে। সেই গানেই শুরুটা করেছিলেন ‘দাবাং দ্য ট্যুর রিলোডেড’ অনুষ্ঠান । মিনিটেই চমকে দিলেন লাল হলুদ মাঠে বসে থাকা জনতাকে। ‘গোত্র’ সিনেমার ‘রঙ্গবতী’ গানে কোমর দোলালেন প্রভু দেবা। একেবারে নতুন ভাবে সামনে এল ‘রঙ্গবতী’। পুরো ঘটনায় বিস্মিত সঙ্গীতশিল্পী ইমন ও সুরজিৎ। ইমন বলেন, ‘আমি ভাবতে পারছি না। সবই জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ। প্রভু দেবা ভারতীয় নাগরিকের ইমোশন, আমি আপ্লুত। ‘

রঙ্গবতী গানে কী আছে যার জন্য এতটা জনপ্রিয় হয়েছে এই গান ? ইমনের উত্তর ‘ বাংলার লোকগানের আলাদা একটা আবেদন রয়েছে। যখন আসল গুণীজন তাঁর কদর করেন তখন তার গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। সত্যি আমার গানটা ধন্য হয়ে গেল। ‘

এই গানের সঙ্গে প্রথম থেকেই জড়িয়েছিলেন ‘গোত্র’-র সংগীতপরিচালক সুরজিৎ। এই গানের ৬০ শতাংশ রেকর্ডিং হয়েছিল তাঁর বাড়িতেই, বাকিটা স্টুডিওয়। সুরটা প্রচলিত হলেও মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট ও গানের লেখা তারই। টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালের থেকেই প্রথম জানতে পেরে সুরজিৎ জানান, ‘ আমি এতটাই উত্তেজিত যে কী বলব বুঝতে পারছি না। তোমাদের থেকেই প্রথম জানছি। ‘ উর্বশী গানে প্রথম সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে প্রভু দেবার পরিচিতি হলেও সুরজিৎ তাঁর নাচের ভক্ত তারও আগে থেকে। সুরজিৎ বলেন, ‘ অনেক আগে থেকে আমি ওনার ফ্যান। এ আর রহমানের সুরে ‘চিকু বুক রইলে’ বলে একটা গানে গৌতমীর সঙ্গে প্রভু দেবার প্রথম নাচ দেখেছিলাম রেল স্টেশনে। আমি অবাক হয়ে গেছিলাম কী করে একটা মানুষ এরকম নাচতে পারে !’

সুরজিৎ বলেন, ‘এখন মনে পড়ছে রঙ্গবতী কী ভাবে বানিয়েছিলাম, কীভাবে ট্র্যাক তৈরি হয়েছিল। শিবু আর নন্দিতাদি কীভাবে প্ল্যানিং করেছিল। উড়িষ্যায় সিকোয়েন্স ছিল তাই এই গান বাছা হয়েছিল। মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্টে নতুনত্ব এনেছিলাম। ‘ট্যারারা’ এই সিগনেচার টিউন টা বাজানোর জন্য নতুন ইনস্ট্রুমেন্ট এনেছিলাম। চাইনিজ বুনুসি এই গানেই প্রথম ব্যবহার করি। গানটা এতদূর পৌঁছে গেছে যে প্রভু দেবা সেই গানে নাচছেন কল্পনাই করা যায় না ।’ নিজে নাচতে পারেন না বলে কি দুঃখ রয়েছে সেই প্রশ্নে সুরাজিতের সহাস্য উত্তর ‘সেই জন্যই হয়ত আমি বহু বছর ধরে ওনার এত বড় ফ্যান। প্রভু দেবা যে মনে করেছেন এই গানের মধ্যে এমন কিছু আছে যে তিনি নাচতে পারেন এটাই আমার কাছে সবচয়ে বড় প্রাপ্তি।’