Jacqueline Fernandez: মধ্যরাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনে জ্যাকলিনের নাচ, হাঁ হয়ে দেখল শহরবাসী

Jacqueline Fernandez: কলকাতায় পা রেখেছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। দিন দুয়েক আগেই শহরে এসেছেন তিনি, এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সলমনের দাবাং ট্যুরে সামিল হতে ক্লাবে হাজির হলেন জ্যাকলিন। ১২ মে রাত্রে ক্লাব প্রাঙ্গনের সামনেই দেখা গেল তাকে। ১৩ মে অনুষ্ঠান, আর তার আগে শেষবারের জন্য রিহার্সাল সেরে নিতে ক্লাবে এসেছিলেন জ্যাকলিন। আর সেখানেই কলকাতায় তার অনুরাগীদের তরফে এক অভিনব অভ্যর্থনায় মুগ্ধ হলেন তিনি।

Jacqueline Fernandez: মধ্যরাতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সামনে জ্যাকলিনের নাচ, হাঁ হয়ে দেখল শহরবাসী
জ্যাকলিন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 13, 2023 | 3:42 PM

কলকাতায় পা রেখেছেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। দিন দুয়েক আগেই শহরে এসেছেন তিনি, এবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে সলমনের দাবাং ট্যুরে সামিল হতে ক্লাবে হাজির হলেন জ্যাকলিন। ১২ মে রাত্রে ক্লাব প্রাঙ্গনের সামনেই দেখা গেল তাকে। ১৩ মে অনুষ্ঠান, আর তার আগে শেষবারের জন্য রিহার্সাল সেরে নিতে ক্লাবে এসেছিলেন জ্যাকলিন। আর সেখানেই কলকাতায় তার অনুরাগীদের তরফে এক অভিনব অভ্যর্থনায় মুগ্ধ হলেন তিনি। কলকাতায় যখন নাচে-গানে মেতে উঠছেন তিনি, তখন অন্যদিকে তিহার জেলে এখনও বন্দি তারই প্রেমিক তার একমাত্র ভালোবাসার মানুষ সুকেশ চন্দ্রশেখর। সেই জেলে বসেই একের পর এক চিঠি লিখে গিয়েছেন সুকেশ, তার প্রেমিকার উদ্দেশে। সেই মানুষটি ছাড়া যে তার জীবনে আর কাউকে ভাবতেই পারেন না তিনি। কিন্তু তারপরেও সুকেশের বন্দিত্বের বিষাদ ধরা দিল না এদিন জ্যাকলিনের মুখে। বেশ খোশমেজাজেই দেখা গেল অভিনেত্রীকে। নাচে-গানে অনুরাগী খুদে সদস্যদের সঙ্গে মেতে উঠলেন তিনি।

শনিবার ‘দাবাং দ্য ট্যুর রিলোডেড’-এর জন্য গত দু-তিনদিন ধরে প্রস্তুতিপর্ব তুঙ্গে। কিন্তু তার একদিন আগেই জ্যাকলিনকে চমকে দিলেন তার অনুরাগীরা। এদিন গাঢ় নীল রঙের একটি আউটফিটে বেশ খোশমেজাজে ধরা দেন তিনি। ‘চিটিয়া কালাইয়া’, ‘টন টনা টন’, ‘শ তরহা কে’-র মত অভিনেত্রীর হিট গানগুলিতে একের পর এক অনবদ্য নাচ উপহার দিতে থাকেন খুদে সদস্যরা। গাড়ি থেকে নেমে খুদেদের সঙ্গে নাচে মেতে উঠলেন জ্যাকলিন। তার মুখে চোখে আনন্দের রেশ।

১৩ মে অনুষ্ঠান হলেও তার দু-দিন আগে শহরে এসেছিলেন তিনি। প্রথমে কালীঘাটে এসে পুজোও দিয়েছেন জ্যাকলিন। কার জন্য?  কিছুদিন আগেই একটি চিঠিতে ভালোবাসার কথা জানিয়ে সুকেশ জ্যাকলিনকে লিখেছিলেন যে আগামী জন্মদিনে তার জন্য কোনও একটি সারপ্রাইজ অপেক্ষা করে আছে। এমনকি এও লিখেছিলেন সুকেশ যে সত্যের জন্য দিন গোনা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার কেবল তার উন্মোচনের পালা। তবে কি সুকেশ নিজের কারামুক্তির কোনও ইঙ্গিত দিলেন? আর সেই ইঙ্গিতেই সুকেশের সব মামলা যাতে সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি হয় সেকথা ভেবেই কালীঘাটে পুজো দিয়েছিলেন জ্যাকলিন। তারপর ইডেনে কেকেআরের খেলাও দেখেন তিনি। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তাঁবুর সামনে দর্শক-অনুরাগীদের ভিড়ে যখন নাচে-গানে মেতে উঠলেন, জ্যাকলিনের মনের ভিতর তখনও কি বাজছিল সুকেশের করুণ আর্তি? ভালোবাসাকে বুকে রেখে, সব বিষাদ বুকে চেপেই কি এদিন কোমল হাসিতে ভরে উঠেছিল জ্যাকলিনের মুখ?