রাম মোহন রায় : জন্ম ২২মে, ১৭৭২। তিনি সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেছিলেন। তাঁর চোখের সামনেই সতী করা হয়েছিল তাঁর বৌদি সরস্বতীকে। বৌদির আর্তনাদে মূর্ছা গিয়েছিলেন রামমাহন। কিন্তু জ্ঞান ফিরতে সংকল্প নেন এই সতীদাহ তিনি বন্ধ করবেনই। সেদিন থেকে তাঁর লড়াই শুরু হয়েছিল।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর : জন্ম ১৫ মে, ১৮১৭। প্রিন্স দ্বারকানাথের পুত্র এবং রবীন্দ্রনাথের পিতা। মনে-প্রাণে ব্রাহ্ম। আদ্যন্ত বৈদান্তিক। তিনি ব্রাহ্ম সমাজের প্রতিষ্ঠাতা। মনে অনেক আশা নিয়ে একবার রামকৃষ্ণ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু ওই একবারই। সেই আলাপ খুব একটা মনে ধরেনি রামকৃষ্ণের।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: জন্ম ৭মে, ১৮৬১। ভারতের প্রথম নোবেল প্রাপক। যে ‘গীতাঞ্জলি’-র জন্য তাঁর নোবেল পাওয়া, তার অনেক কবিতার ইংরেজি অনুবাদের খসড়ার খাতা ট্রেনের কামড়ায় ফেলে এসেছিলেন তাঁর ছেলে রথীন্দ্রনাথ। পরে রদেনস্টাইনের চেষ্টায় সেই খাতা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। মিলেছিল নোবেল।
কাজী নজরুল ইসলাম : জন্ম ২৫ মে,১৮৯৯। রাজনৈতিক কবিতা ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ লেখার জন্য নজরুলকে জেল খাটতে হয়। এই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি তাঁর ‘বসন্ত’ নাটকটি নজরুলকে উৎসর্গ করেছিলেন।
সত্যজিৎ রায় : ২মে, ১৯২১। তাঁর প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরি করতে গিয়ে তিনি নিজের জীবনবিমা বিক্রি করে দিয়েছিলেন। বন্ধক রেখেছিলেন স্ত্রী-র গয়নাও। শেষমেশ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় টাকার ব্যবস্থা করে দিলে ‘পথের পাঁচালী’ তৈরি হয়। ভারতে এক আধুনিক চলচ্চিত্র ভাষার জন্ম দেন সত্যজিৎ রায়।
মৃণাল সেন : ১৪ মে, ১৯২৩। ১৯৬৩ সালে মৃণাল সেনের ‘আকাশ কুসুম’ রিলিজ করার পর কড়া সমালোচনা করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। প্রায় দু’মাস ধরে দু’জনের মধ্যে চিঠি-যুদ্ধ চলেছিল।